Health Tips > Protect your Health/ your Doctor

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার কয়েকটি উপায়

(1/1)

Sahadat Hossain:
হরমোন এমন এক ধরণের জৈব রাসায়নিক যা রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে। দেহের বৃদ্ধি ও উন্নয়ন, কর্মপ্রেরণা ও প্রজনন, বিপাক এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। রাসায়নিক এই বার্তাবাহক যখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে তখন হজমের সমস্যা, ক্লান্তি ও ওজন বৃদ্ধির মত শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হয়। সুসংবাদ হচ্ছে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা যায় এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যায়। এবার তাহলে সেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ভেজিটেবল ওয়েল বাদ দিন
মানুষের শরীরে সুস্থ কোষ উৎপন্ন হওয়ার জন্য স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে যে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট অল্প পরিমাণে হলে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি অন্য স্বাস্থ্যসমস্যাও সৃষ্টি করে। পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায় সবজি, ক্যানুলা, চিনাবাদাম, সয়াবিন তেলে এবং মার্জারিনে। পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট আণবিকভাবে অস্থায়ী ধরণের হয় এবং অন্যান্য ফ্যাটের চেয়ে বেশি জারণ প্রবণ হয়। মানব দেহ উপযুক্ত স্থিতিশীল চর্বির অনুপস্থিতিতে নতুন কোষের গঠন ও মেরামতের জন্য পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ব্যবহার করতে বাধ্য করে।দেহের এই ধরণের কাজের ফলে কোষের পরিবর্তন হয় এবং হরমোনের ত্রুটি দেখা দেয়। তাই এই ধরণের তেলের পরিবর্তে অসিদ্ধ ভার্জিন অলিভ  ওয়েল, অ্যাভোকাডো ওয়েল, আসল মাখন ও নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। 

২। প্রতিদিন নারিকেল তেল খান
নারিকেল তেলে স্বাস্থ্যকর সম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল থাইরয়েড ফাংশনের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কোলেস্টেরলকে প্রেগ্নেনোলোনে রুপান্তরের মাধ্যমে। হরমোন উৎপাদনে কাজে লাগে প্রেগ্নেনোলোন। এছাড়াও নারিকেল তেলে রয়েছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এটি এক ধরণের বিশেষ ফ্যাট যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে মেটাবলিজম এবং এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। অধিক এনার্জি মানে শক্তিশালী দেহ, দৈনন্দিন কাজ করার সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।

৩। ভিটামিন ডি
সূর্যের আলো ত্বকের জন্য ভালো। যখন আমাদের ত্বকের কোষ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে তখন ফটোকেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের ফলে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। ভিটামিন ডি বাহক প্রোটিন হিসেবে রক্তে উপস্থিত থেকে রক্তসংবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে যায়। DNA/RNA   উৎপাদনে কাজে লাগে, ইমিউন ও নিউরোমাস্কুলার সিস্টেমের এবং হরমোনের উৎপাদনে কাজে লাগে ভিটামিন ডি। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম ভিটামিন ডি ছাড়া অক্ষম। প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই ভিটামিন ডি। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে হাঁটুন।

৪। বিষ এড়িয়ে চলুন
প্লাস্টিকের সামগ্রিতে, পরিষ্কারক ও কীটনাশক হরমোনের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। তাই প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাঁচের বৈয়মে খাবার সংরক্ষণ করুন। অর্গানিক ফল ও সবজি খান এবং অ্যামোনিয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ঘর পরিষ্কার করুন।

তাছাড়া ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করুন। রক্তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন এর উপস্থিতি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই ক্যাফেইন মুক্ত বা হারবাল চা গ্রহণ করুন। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গভীরভাবে দম নিন, শরীরচর্চা করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন  ।

লিখেছেন- সাবেরা খাতুন

Farjana Diba:
sometimes we underestimate the influence of little things. Thank you for sharing. This would be very helpful

Navigation

[0] Message Index

Go to full version