সবচেয়ে বেশি ঘুমান ডাচরা, জাপানিরা কম

Author Topic: সবচেয়ে বেশি ঘুমান ডাচরা, জাপানিরা কম  (Read 1081 times)

Offline sharifmajumdar

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 108
  • You have to control your emotion to get success
    • View Profile
বলতে পারেন, বিশ্বের কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমায় আর কোন দেশের নাগরিকরা জেগে ওঠেন সবার আগে? স্লিপ প্যাটার্নের ওপর করা সাম্প্রতিক বৈশ্বিক একটি গবেষণায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ানরা অন্যসব দেশের নাগরিকদের তুলনায় রাতে আগে ঘুমাতে যান।

অ‍াবার ডাচরা সবচেয়ে বেশি সময় ঘুমান। এরা গড়ে ঘুমান আট ঘণ্টা ১২ মিনিট। মিশিগান বিশ্ববিদ্যলয়ের এ গবেষণা পরিচালিত হয় মোট একশোটি দেশের পাঁচ হাজার চারশো মানুষের ওপর।

গবেষণার ফলাফলে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে মানসম্পন্ন ঘুমের পারস্পরিক সম্পর্ক দেখেছেন গবেষকরা। দেশভিত্তিক সমীক্ষায় দেখা যায়, স্পেনের নাগরিকরা ঘুমাতে যান রাত পৌনে বারোটায়। টানা আটঘণ্টা এরা ঘুমান। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ও জাপানের নাগরিকরা সবচেয়ে কম সময় অর্থাৎ, গড়ে সাতঘণ্টা ২৪ মিনিট ঘুমান।

সংযুক্ত আবর অ‍ামিরাতের নাগরিকরা আমেরিকানদের তুলনায় দীর্ঘতম ঘুম উপভোগ করেন। কারণ তারা গড়ে সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত ঘুমান। অন্যদিকে আমেরিকানরা ঘড়িতে অ্যালার্ম দেন সকাল পৌনে সাতটায়। 

শুরুতে বলা হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ানদের কথা। বেশিরভ‍াগ অস্ট্রেলিয়ানরা রাত পৌনে ১১টায় শোবার ঘরের বাতি বন্ধ করেন, যেখানে বেলজিয়ানরা অস্ট্রেলিয়ানদের ১৫ মিনিট পর বাতি নেভান। মানে তারা ঘুমান রাত ১১টায়।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীরা সাধারণত রাত ১১টা ১০ এ ঘুমাতে যান ও সকাল সাতটা ১০টা বাজে ঘুম থেকে জাগেন। প্রায় আটঘণ্টাই ঘুমান তারা। 

জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশিত  এ গবেষণার সহ-রচয়িতা ডানিয়েল ফোর্জার বলেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পেছনে দেশগুলোর ঐতিহ্যগত চাপ রয়েছে।


গবেষণ‍ার ফলাফলে বলা হয়, সমাজ ঘুমানোর সময় নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্যক্তির দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করে তার ওঠার সময়। ফলে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে কম ঘুম নষ্ট বা কম ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে।

ফোর্জার আরও বলেন, ঘুম থেকে ওঠার সময় নির্ভর করে দেহঘড়ির ওপর, অ্যালার্ম ঘড়ির ওপর নয়। শরীরের নিজস্ব প্রাকৃতিক ঘড়ি রয়েছে। একে সার্কাডিয়ান ক্লক বলে। এটি ২৪ ঘণ্টার রুটিন মেনে চলে ও পরিবেশ থেকে দৈনন্দিন সংকেতগুলো সিনক্রানাইজ করে রাখে। বিশেষ করে আলো ও অন্ধকারের ব্যাপারগুলো। 
Shariful Islam Majumdar
Lecturer, Department of MCT
Daffodil International University