Faculties and Departments > Life Science
ডেঙ্গুজ্বরের বিশেষ উপসর্গ
(1/1)
Anuz:
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে, মানে জুন-জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ হয়। এখানে-ওখানে জমে থাকা পানিতে সহজেই বংশ বিস্তার করে এডিস মশা। এরাই ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এবং ছড়িয়ে দেয়। এই জ্বর প্রতিরোধে সবার সচেতনতা দরকার।
উপসর্গ: ভাইরাসের আক্রমণে ডেঙ্গুজ্বর হয়। তবে এর উপসর্গে কিছু বিশেষত্ব আছে। হঠাৎ উচ্চ মাত্রার জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ বা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। পাশাপাশি প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, সারা শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা, খুব দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা ইত্যাদি হলো ডেঙ্গুর লক্ষণ। সেই সঙ্গে খাবারে অরুচি, বমি ভাব কিংবা বমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকতে পারে। জ্বরের তিন বা চার দিন পর ত্বকে লাল দানা বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া ভালো, তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মৌসুম, রোগীর বাসস্থান এবং জ্বরের উপসর্গ বিবেচনা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু শনাক্ত করা যায়। অযথা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। ডেঙ্গুজ্বর বলে চিকিৎসকের সন্দেহ হয়ে থাকলে সেটাই যথেষ্ট। কেননা, পরীক্ষার আগে-পরে চিকিৎসাপদ্ধতির তেমন কোনো হেরফের নেই।
চিকিৎসা: জ্বর বেশি হলে ভেজা কাপড় দিয়ে রোগীর শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। প্যারাসিটামল খেলেও অ্যাসপিরিনজাতীয় কোনো ওষুধ এবং ব্যথানাশক একেবারেই চলবে না। প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে। এতেই ৭ থেকে ১০ দিনের মাথায় বেশির ভাগ রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। খুব অল্পসংখ্যক রোগীর জটিলতা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতে পারে।
চাই প্রতিরোধ: ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধন করতে পারলেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। বাড়ির আশপাশের জলাধার ও টব পানিশূন্য রাখতে হবে, ডাবের খোসা বা টায়ারে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
naser.te:
Thank you.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version