গত বছর কোপা আমেরিকার দলে ছিলেন না। ছিলেন না দেশের মাটিতে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের দলেও। অনেক দিন পর কাকার সামনে ব্রাজিলের হয়ে বড় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সতীর্থের চোটে জায়গা পেয়েছিলেন এবারের কোপা আমেরিকার দলে। কিন্তু সেই চোট ছিটকে দিল তাঁকেও। হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ায় কমপক্ষে ২০ দিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন এই মিডফিল্ডার। কাকার বদলে দলে নেওয়া হয়েছে গানসোকে। ২০১২ সালে সর্বশেষ ব্রাজিলের হয়ে খেলেছিলেন ২৬ বছর বয়সী গানসো।
কাকা প্রথমে ডাক পেয়েছিলেন ডগলাস কস্তা ছিটকে পড়ায়। বর্তমানে মার্কিন ফুটবলকে ঠিকানা করে নেওয়া কাকাকে দলে নেন কোচ কার্লোস দুঙ্গা। ৩৪ বছর বয়সী কাকা প্রস্তুতও হচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ারটাকেই আঁধারের পথে টেনে নিয়ে যাওয়া সেই পুরোনো শত্রু আবার হানা দিল।
২০১০ বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের হয়ে আর কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলা হয়নি ২০০৭ সালের ফিফা বর্ষসেরার। ২০১১ সালের কোপা আমেরিকা আর ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশনস কাপেও ছিলেন না। নেইমারের না থাকা, মাঝমাঠে ভালো খেলোয়াড়ের সংকট, অভিজ্ঞতা—সব মিলিয়েই আবারও দুয়ার খুলেছিল তাঁর জন্য। কোপার প্রস্তুতি ম্যাচে পানামার বিপক্ষে বদলি হিসেবে খেলেওছেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ছিটকে পড়লেন।
হুট করে দলে ডাক পাওয়া গানসো ২০১১ সালে কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রতিটি ম্যাচে খেলেছেন। যদিও এরপর প্রায় তাঁকে ভুলেই গিয়েছিল ব্রাজিলের কোচরা।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় কোপার উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি হবে কলম্বিয়ার। পরদিন সকাল আটটায় ব্রাজিল খেলবে ইকুয়েডরের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল আটটায় আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ গত আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে কাঁদানো চিলি।