টাঙ্গাইলের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রবিবার তদন্ত সংস্থার সদস্য ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান কুমুদিনী হাসপাতাল ও মির্জাপুর গ্রাম পরিদর্শন করে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তাঁর সঙ্গে তদন্তকারী দলের অপর সদস্য রুপল চন্দ্র দাস ছিলেন।
কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দী, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র পোদ্দার, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ প্রতিভা হালদারও উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। রণদা প্রসাদ সাহা কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আজই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তখনকার সময়ে যারা জীবিত আছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি রেকর্ড করছি।
রণদা প্রসাদ সাহা ‘কুমুদিনী ডিসপেনসারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে সেটিই কুমুদিনী হাসপাতাল নামে পূর্ণতা লাভ করে। এ ছাড়া তাঁর প্রপিতামহী ভারতেশ্বরী দেবীর নামে ‘ভারতেশ্বরী বিদ্যাপীঠ’ স্থাপন করে এই অঞ্চলে নারী শিক্ষার সুযোগ করে দেন। এটি ১৯৪৫ সালে ভারতেশ্বরী হোমসে রূপলাভ করে। এর আগে ১৯৪৩ সালে তিনি টাঙ্গাইলে কুমুদিনী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বাবার নামে মানিকগঞ্জে দেবেন্দ্র কলেজ স্থাপন করেন।