Science & Information Technology > Life Science

আম পাড়ার নতুন কৌশল

(1/1)

Lazminur Alam:
প্রচলিত পদ্ধতিতে গাছ থেকে আম নামাতে গেলে বোঁটা ভেঙে আমের সারা গায়ে কষ ছড়িয়ে পড়ে। আমপাড়ুয়ার চোখেমুখেও কষ লাগে। যেখানে লাগে, সেখানে ঘা হয়ে যায়। সহজে সারে না। শুধু তা-ই নয়, কষের কারণে আম ‘অ্যানথ্রাকনোজ’ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়। পাকতে না-পাকতেই আম পচে যায়। বোঁটা থেকেই এর পচন শুরু হয়। আবার ঠুসি থেকে বের হয়েও নিচে পড়ে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আঘাত লাগা আম পাকার আগেই পচে যায়। আম ঠুসিতে পড়ার কারণে লগি ভারী হয়ে যায়। ধরে রাখতে কষ্ট হয়।  ঠুসির ক্ষেত্রে তা হবে না। আম সরাসরি নিচে চলে আসবে। লগি ভারী হবে না।
ঠুসির মাথায় থাকে একটি কাটার যন্ত্রপ্রচলিত আম পাড়ার ঠুসির মতোই এই ঠুসি তৈরির জন্য একটি বাঁশের লগির প্রয়োজন হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে লগির মাথায় দড়ি দিয়ে তৈরি জালের একটা ঠুসি বাঁধা থাকে। গাছে ঝুলে থাকা আম ঠুসিতে ভরে টান দিয়ে ছিঁড়তে হয়। তখন আম বোঁটা থেকে ছিঁড়ে ঠুসির ভেতরে পড়ে। একসঙ্গে কয়েকটি আম ঠুসিতে ভরে তারপর ঠুসি কাছে এনে আম নামানো হয়।
 
আম পাড়া এত সোজা!তার সঙ্গে একটি রশি বেঁধে নিচ থেকে কাটার যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করেন। এই ঠুসির ভেতরে গাছে ঝুলে থাকা আম ভরে নিচের রশিতে টান দিলেই বোঁটার ইচ্ছামতো দূরত্ব থেকে কেটে নেওয়া যায়। কাটার সঙ্গে সঙ্গে আম ঠুসি থেকে কাপড়ের পাইপের মধ্য দিয়ে সরাসরি নিচে চলে আসে। লগির গায়ে রেইনকোটের কাপড় দিয়ে আম নিচে নামানোর পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ একটি ঠুসি তৈরি করতে প্রায় ২০০ টাকা খরচ হয়। আধুনিক ঠুসি বানাতে প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হবে।

Saba Fatema:
Interesting...

smriti.te:
Good post...

Navigation

[0] Message Index

Go to full version