Health Tips > Food and Nutrition Science
সুস্বাদ ও স্বাস্থ্য নিয়ে বহুগুনী মাশরুম
(1/1)
Sahadat Hossain:
এটা মোটামুটি সকলেই জানেন যে মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক। অধিকাংশ মাশরুমই ব্যাসিডিওমাইকোটা এবং কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তভুক্ত। অন্যান্য উদ্ভিদের ন্যায় মাশরুমের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য তৈরীর জন্য সূর্য থেকে আলোর প্রয়োজন পড়ে না। অন্ধকার আর স্যাঁতসেঁতে জায়গাতেই বরং ভালো জন্মায় মাশরুম।
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় চৌদ্দ হাজার প্রজাতির মাশরুমের কথা জানা যায়। তবে সেগুলোর মাঝে বেশিরভাগই খাওয়ার অযোগ্য। কিছু কিছু প্রজাতি মারাত্মক বিষাক্ত। অনেক প্রজাতির মাশরুমই এক রাতের মধ্যেই উৎপাদিত হতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশই ধীরে ধীরে বড় হয়। আবাদকৃত মাশরুম আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে থাকে প্রাকৃতিক মাশরুমের চাইতে। খাবার উপযোগী অংশটি অল্প কিছুদিন সতেজ থাকে। বিশ্বের অধিকাংশ মাশরুমেই একটি দণ্ড এবং ছাতার ন্যায় একটি টুপি থাকে।
দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দমনে মাশরুমের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি বায়োটিক ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি খাদ্যপ্রাণ থাকে যাতে রিবোফ্লোবিন, নায়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক এসিড থাকে। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যথা - সেলেনিয়াম, কপার এবং পটাসিয়াম থাকে। ভিটামিন বি খাদ্যকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে। আর গ্লুকোজ থেকেই তৈরি হয় আমাদের দেহের শক্তি। ভিটামিন বি খাদ্যবিপাক প্রক্রিয়াকেও সক্রিয় করে। সেলেনিয়াম উপাদানটি শুধু মাছেই পাওয়া যায়। যারা পুরোপুরি নিরামিষভোজি তারা মাশরুমের মাধ্যমে এই উপকারী উপাদানটি গ্রহণ করতে পারেন।
মাশরুম কোলেস্টোরল শূন্য। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও খুবই সামান্য। এতে যে এনজাইম ও ফাইবার আছে তা দেহে উপসি'ত বাকি ব্যাড কোলেস্টোরলের বসতিও উজাড় করে দেয়। মাশরুম একমাত্র সবজি ও দ্বিতীয় খাদ্য উপাদান (প্রথম কডলিভার ওয়েল) যাতে ভিটামিন ডি ভোজ্য আকারে পাওয়া যায়। অন্য কোনো খাদ্য উপাদানে ভোজ্য আকারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। মাশরুমকে চিকিৎসকেরা এক সময় প্রাকৃতিক ইনসুলিন, আবার আরেক সময় প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
দেহের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ ও দেহের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দূর করতে ভালো কাজ করে মাশরুম। মাশরুমে আরো আছে এরগোথিওনেইন নামে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মানবদেহের জন্য ঢালের মতো কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক ব্যাকটেরিয়াও দমন করে।
নিরামিষভোজী বিশ্বে মাশরুম মাংস হিসেবে পরিচিত। খাবার উপযোগী মাশরুম সাধারণতঃ চীনা, কোরিয়ান, ইউরোপীয়ান এবং জাপানীজ রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশেও দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে মাশরুম, আজকাল বেশ অল্প মূল্যেই মিলছে। অমলেট থেকে শুরু করে পাস্তা, রোল, স্যুপ ইত্যাদি হরেক রকমের মজাদার খাবার তৈরি করে খেতে পারেন মাশরুম দিয়ে।
------See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/43863#sthash.hzgZ7ftj.dpuf
Nujhat Anjum:
Nice One.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version