ম্যাচের আগে আইসল্যান্ড মিডফিল্ডার বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু উদ্যাপন তাঁরা করবেন ইংল্যান্ডকে হারানোর পর। কাজটা তো করেই ফেলেছেন বিনারসনরা, ইউরোর শেষ ষোলোতে আজ ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে উঠে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
কত সহজে বলা হয়ে গেল! আইসল্যান্ড যা করেছে, সেটি তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য! ছোট্ট একটি দ্বীপদেশ, এবারই প্রথম ফুটবলের বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে তারা। গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গে ড্র, অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জয় নিয়ে শেষ ষোলোতে উঠে আসা। এসেই বিদায় করে দিল ইংলিশদেরও। সেই ইংল্যান্ড, যাদের ফুটবলকেই ধ্রুবতারা মেনে চলে আইসল্যান্ডের ফুটবল। সেই ইংল্যান্ড, যাদের এক লেস্টার শহরেই বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা আইসল্যান্ডের পুরো দেশের জনসংখ্যার সমান। ইউরোর ইতিহাসে তো বটেই, ফুটবলের ইতিহাসেই কি আর এমন কীর্তি খুব বেশি আছে?