ভরা বর্ষা, চারদিকে ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। ছোটরাও কিন্তু এতে আক্রান্ত হয়। শিশুদের ডেঙ্গুর লক্ষণ সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতোই। স্কুলগামী একটু বড় শিশুরা পেশি, হাড়, পিঠ ও চোখের কোটরে ব্যথার কথা বলতে পারে। সঙ্গে বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথাও থাকতে পারে। ডেঙ্গু হলেই যে লাল দানা বা র্যা শ হবে, তা নয়। আবার রক্তক্ষরণ হবেই, তা-ও নয়।
ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তনালিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে জলীয় অংশ বের করে দেয়, ফলে রোগী পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা পানিশূন্য হয় দ্রুত। তাই শিশুদের জটিলতার আশঙ্কাও বেশি। এ কারণে শিশুর তরল খাবারের দিকে গুরুত্ব দিন। একটু পরপর বুকের দুধ, পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন, জুস, লেবুর শরবত ইত্যাদি দেবেন। রুচি কমে যায় বলে এমন খাবার দিন, যা অল্প খেলেও পুষ্টি পায়। যেমন-খিচুড়ি। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সিরাপ, বড়ি বা সাপোজিটরি—যেকোনো কিছু ব্যবহার করা যায়। তবে এসপিরিন দেওয়া যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিকও অপ্রয়োজনীয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে মশারির ভেতর রেখে যথেষ্ট বিশ্রামে রাখুন। স্কুলে যাওয়া ৫-৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখুন। বেশি খেলাধুলাও নয়। বেশির ভাগ ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। প্রয়োজনে কখনো স্যালাইন দিতে হতে পারে। তবে প্লাটিলেট দিতে হবে, তা নয়।
এ সময় গরম থাকলেও স্কুলে, কোচিংয়ে বা বাড়িতে ফুলপ্যান্ট পরাবেন। দিন-রাত দুবেলাই ঘুমন্ত শিশুকে মশারির মধ্যে রাখুন। মশা তাড়াতে ছোট শিশুর ঘরে কয়েল না জ্বালানোই ভালো। এতে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। বরং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ শিশুকে ওই ঘরে যেতে দেবেন না।
Source :
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/919813/%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ