Famous > History

সাত মসজিদ

(1/1)

Lazminur Alam:
পেছনে বিস্তৃত বুড়িগঙ্গা নদী। তীরে একটি নৌকা ভেড়ানো। সামনে নয়নাভিরাম একটি মসজিদ। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে মসজিদটি বেশ চেনা। এটি সাত গম্বুজ মসজিদ। ইন্টারনেটে নদীর তীরের মসজিদটির বেশ পুরোনো একটি ছবি পাওয়া গেল। ছবিটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সৌজন্যে পাওয়া। তবে ছবিটি ঠিক কত সালে তোলা তা উল্লেখ নেই। ১৮১৪ সালে স্যার চার্লস ডি ওয়াইলি বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে এই সাত মসজিদের একটি শিল্পকর্ম এঁকেছিলেন। সেটিও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন বইতে আছে। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এবং ঢাকা জেলার ওয়েবসাইটের তথ্য খুঁজে জানা গেল, মোগল আমলে নির্মিত হয় এই সাত মসজিদ। ছাদে তিনটি বড় গম্বুজ এবং চার কোণের প্রতি কোনায় একটি করে ছোট গম্বুজ থাকায় একে সাত গম্বুজ মসজিদ বলা হয়। ১৬৮০ সালে মোগল সুবাদার শায়েস্তা খাঁর আমলে তাঁর পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের পূর্ব পাশে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে একটি সমাধি। কথিত আছে, এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। সমাধিটি ‘বিবির মাজার’ বলেও খ্যাত। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, একসময় মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা। ঘাটেই ভেড়ানো হতো লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু এখন সেসব হারিয়ে গেছে। বর্তমানে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আছে। কেউ যদি মোহাম্মদপুরের কাটাসুর থেকে শিয়া মসজিদের দিকের রাস্তা ধরে বাঁশবাড়ীর দিকে যান, তবে চোখে পড়বে এই মসজিদ। মসজিদের ঠিক পেছনেই আছে একটি মাদ্রাসা। অবশ্য এখন আর সেই বুড়িগঙ্গা নেই। সেখানে উঠেছে অনেক বহুতল ভবন।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version