লক্ষ্মীপ্যাঁচা

Author Topic: লক্ষ্মীপ্যাঁচা  (Read 2195 times)

Offline Lazminur Alam

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 337
  • Test
    • View Profile
লক্ষ্মীপ্যাঁচা
« on: July 31, 2016, 02:03:09 PM »
নিশাচর পাখিটি হলো আমাদের অতিপরিচিত লক্ষ্মীপ্যাঁচা (Barn Owl)। Tytonidae গোত্রের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Tyto alba।
ঠোঁটের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত লক্ষ্মীপ্যাঁচার দৈর্ঘ্য ৩৩-৩৯ সেন্টিমিটার। ওজন ৫২০-৫৫০ গ্রাম। পুরুষগুলো আকারে কিছুটা বড়। মুখমণ্ডল পুরোপুরি হৃৎপিণ্ড আকৃতির ও সাদা এবং তাতে রয়েছে হালকা হলদেটে-লাল আভা। মাথা-ঘাড়সহ দেহের ওপরটা ও ডানা সোনালি-ধূসর এবং তাতে গাঢ় ও হালকা সাদা ফোঁটা। দেহের নিচটা রেশমি সাদা ও তাতে অল্পস্বল্প হালকা হলদেটে-লাল আভা এবং অতি সূক্ষ্ম কালো ফোঁটা। চোখ বড় বড় ও কালো। পা ও পায়ের পাতা সাদাটে বা হালকা মেটে-বাদামি। নখর কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।
লক্ষ্মীপ্যাঁচা সারা দেশেই আছে—যেমন আছে গ্রামে, তেমনি শহরেও। তবে গভীর জঙ্গলে দেখা যায় না। পরিত্যক্ত দালান, দুর্গ, মসজিদ, মন্দির ও বাড়িঘরের অন্ধকার স্থান, গাছের ফোকর, গুহা, দালানের ফাঁকফোকর ইত্যাদিতে বাস করে। এরা নিশাচর ও সন্ধ্যাচারী। ভোর ও সন্ধ্যায় শিকার করে। ইঁদুর, নেংটি ইঁদুর, ব্যাঙ, ছোট সাপ, ছোট পাখি, ডিমও খেতে পারে। এদের ডাক বড়ই অদ্ভুত। চিল-চেঁচানি, মুরগির চাপা ডাক, নাক ডাকার মতো ঘড় ঘড় বা হিসহিস শব্দ করে।
স্ত্রী-পুরুষ সারা জীবনের জন্য জোড় বাঁধে। পর্যাপ্ত খাবার থাকলে বছরে দুবারও প্রজনন করতে পারে। স্ত্রী ছয় থেকে আটটি সাদা ডিম পাড়ে। স্ত্রী একাই তা দিয়ে ৩০-৩২ দিনে ডিম ফোটায়। প্রথম ডিম পাড়ার পরই ডিমে তা দেওয়া শুরু করে। তাই সব ডিমই একসঙ্গে ফোটে না এবং বাসায় বিভিন্ন বয়স ও আকারের বাচ্চা দেখা যায়। উড়তে শেখে ৬৪ থেকে ৮৬ দিনে। বছর খানেক বয়সে পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটে। বুনোগুলো সচরাচর দু-চার বছর বাঁচে। তবে আবদ্ধাবস্থায় ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে।
MD.LAZMINUR ALAM
|| BA (Hons) in English || || MBA in Marketing ||

Senior Student Counselor
Daffodil International University
Cell: 01713493051
E-mail: lazminur@daffodilvarsity.edu.bd
            lazminurat@yahoo.com
Web: www.daffodilvarsity.edu.bd