ভয়ানক সব মানুষ খেকো ....

Author Topic: ভয়ানক সব মানুষ খেকো ....  (Read 1190 times)

Offline Faruq Hushain

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 86
  • Test
    • View Profile
ভয়ানক সব মানুষ খেকো ....
« on: August 02, 2016, 05:15:33 PM »
তিহাসে মানুষখেকোদের বর্ণনা থাকলেও একবিংশ শতাব্দিতেও পৃথিবী থেকে এদের অস্তিত্ব মিলিয়ে যায়নি। বিশ্বে বেশ কিছু দুর্গম স্থান এখনও রয়েছে, যেখানে সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি। আবার কোথাও কোথাও এই ভয়ানক ব্যাপারটির অবসান ঘটেছে সদ্যই। বিশ্বে এখনও যেসব স্থানে মানুষখেকোদের বর্ণনা পাওয়া গিয়েছে, এবারের আয়োজন সেসব নিয়েই।

১. ভারত: অভিযোগ আছে, ভারতের বারাণসীতে এখনও একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আঘোরি সাধু নামে বিশেষ এক সন্নাসী সম্প্রদায় রয়েছে যারা মৃত মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। যদিও প্রচলিত আছে এই সম্প্রদায় বিশেষ মার্গ সাধনার পদ্ধতি হিসেবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে।
২. পাপুয়া নিউগিনি: দেশটির পশ্চিমে কোরোয়াই উপজাতির মানুষেরা প্রতিশোধ হিসেবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে এখনও এই সম্প্রদায়ের অন্তত ৩ হাজার মানুষ রয়েছে। এরা খাওয়ার মতো মানুষের সন্ধান না পেলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের মাংসও খেয়ে থাকে।
৩. সিগাটোকা, ফিজি: দেশটিতে একসময় মানুষখেকোরা থাকলেও এখন তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই অঞ্চলে চন্দন ব্যবসায়ীরা আসা যাওয়া শুরু করলে আদিবাসীদের মাঝেও সভ্যতার আলো পৌঁছাতে থাকে। যদিও বলা হয় এই দ্বীপাঞ্চলটির কোথাও কোথাও এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবণতা মিলিয়ে যায়নি। সিগাটোকার নাইহেহে গুহায় যেসব নিদর্শন মিলেছে, তাতে স্পষ্টই বোঝা গেছে যে মানুষখেকোরা আসলে মিলিয়ে যায়নি।
৪. কঙ্গো: আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশটির আদিবাসীদের মাঝে এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবনতা মিলিয়ে যায়নি। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে মানুষের মাংস খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের। ২০০৩ সালের গোড়ার দিকে কঙ্গোর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মানুষ খাওয়ার অভিযোগ তোলে খোদ জাতিসংঘ। দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের পর সরকারের এক প্রতিনিধি তাদের কর্মীদের জীবন্ত ছিড়ে খাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত তোলেন।
৫. জার্মানি: আশ্চর্য হলেও সত্যি, জার্মানিতে মানুষের মাংস খাওয়া কোনো অপরাধ নয়। আর সেজন্যই ২০০১ সালের মার্চে আর্মিন মাইভাস নামের এক জার্মান নাগরিক রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষ খেলেও তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা ছাড়া কোনো অভিযোগ আনেনি পুলিশ। মানুষ খাওয়ার উদ্দেশে ‘দি ক্যানিবাল ক্যাফে’ নামের একটি ওয়েবসাইটে সুঠামদেহী, জবাইযোগ্য এবং আহার হতে চাওয়া মানুষের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন আর্মিন। অনেকে আগ্রহী হলেও বার্ন্ড জুর্গেন ব্রান্ডিসকে পছন্দ করেন আর্মিন। এরপর জার্মানির ছোট্ট গ্রাম রটেনবার্গে দুজনে মিলিত হন। একপর্যায়ে ব্রান্ডিসকে হত্যা করে প্রায় ১০ মাস তার মাংস খান আর্মিন মাইভাস। ২০০২ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
৬. কম্বোডিয়া: ১৯৭০ সালের দিকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সময় অভিযোগ ওঠে, একদল সেনা আটক কয়েকজন খেমারুজ বিদ্রোহীদের হৃদয় ও যকৃত কেটে বের করে নেয়। এবং পরে তারা শিবিরে ফিরে সেগুলি খায়।

http://www.poriborton.com