জ্বর হয়েছে কিন্তু এন্টপাইরেটিক (প্যারাসিটামল) বা এনালজেসিক (পেইনকিলার) খান নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা কখনো ভেবেছি কি? জ্বরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীর থেকে পানি ইভাপোরেশনের মাধ্যমে বের হয়ে যায়? শরীরে এর ফলে ডিহাইড্রেশন (পানিস্বল্পতা) হয়। এজন্য কিডনি কম রক্ত পায় এবং কিডনির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। আবার এর সংগে এনালজেসিক খেলে শরীরে প্রোস্টা গ্লান্ডিন তৈরী বন্ধ হয়ে যায় যেগুলো কিডনীর ভালোর জন্য কাজ করে! এরফলে কিডনি উভয় সংকটে পড়ে যায়। আমরা হারিয়ে ফেলি কিডনির অনেক মূল্যবান নেফ্রন (কিডনির কার্যকরী একক) । মনে রাখবেন কিডনীর নেফ্রন একবার নষ্ট হলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। যখন ৭০ পার্সেন্ট বা তারও বেশী নষ্ট হয় তখন রেনাল ফেইলিউর ডিভলপ করে এবং ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। এমনিতেই স্বাভাবিক ভাবেই ৫০ বছরের পর প্রত্যেক ১০ বছরে ১০ পার্সেন্ট করে নেফ্রন নষ্ট হয়। আমরা প্রত্যেকবার জ্বরেও কি নেফ্রন হারিয়ে কিডনিককে আরো বিপদে ঠেলে দিচ্ছি না? বেচারার ও তো জীবন তাই একসময় বিকল হয়ে আপনার উপর ও প্রতিশোধ নেয় তাহলে আমাদের করণীয় কি?
জ্বর আসলে পর্যাপ্ত পানি বা খাবার স্যালাইন খাওয়া। তাহলে দেখবেন জ্বরের পরে ডিহাইড্রেশন জনিত দুর্বলতা আপনাকে অতটা কাবু করতে পারে নি আর কিডনি তো মনের আনন্দে হাসবে।
