পেটের আলসারকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় পেপটিক আলসার বলা হয়। জনসাধারণের কাছে এটি গ্যাসট্রিক আলসার নামেই বেশি পরিচিত, যা অতি পরিচিত একটি রোগ। অনেকেই এ সমস্যায় আক্রান্ত।
পেটের ভেতর ক্ষত বা ঘা হওয়াকে আলসার বলা হয়। পেটের দেয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মসলা, তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয়, পেট জ্বালা করতে থাকে, যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এটিকে সাধারণ রোগ ভেবে অবহেলা করলে পরবর্তী সময়ে এটি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শুরুতে যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায় তবে সম্পূর্ণভাবে আলসার ভালো হয়ে যেতে পারে।
আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। জেনে নিন, কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে।
* মধু: মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক, যা যেকোনো জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে।
* টক দই : কম ফ্যাটের ডেইরি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে।
* বাঁধাকপি : বাঁধাকপিতে থাকে এস-মেথিলমেথিওনাইন, যা আলসারের সঙ্গে লড়াই করে তা সারাতে সাহায্য করে।
* অঙ্কুরিত ছোলা বা ডাল : অঙ্কুরিত ছোলা বা ডাল খেলে পেটের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়। পেট ভালো থাকে।
* ফুলকপি : বাঁধাকপির মতো ফুলকপিও পেটের পক্ষে উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে সালফোরাফেন, যা পেটের আলসার সারাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ফাইবার পেটের সুরক্ষা করে।
* ফাইবার ফুড : ফাইবার বেশি মাত্রায় রয়েছে, এমন খাবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আলসারেও তা অব্যর্থ কাজ করে।
* নাশপাতি : নাশপাতিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আলসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
* তেল : সব তেল নয়, অলিভ অয়েল ও সূর্যমুখী তেল পেটের আলসারে ভালো কাজ দেয়।
* ব্রকোলি: ফুলকপির মতো দেখতে আলসার সারাতে মোক্ষম এই সবজিকে স্থান দিন আপনার ডায়েট চার্টে।
তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া
তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া