রংপুরে কয়েক বছর ধরে তুলার মৌসুমে, বৃষ্টিপাতের কারণে তুলা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। তবে চলতি বছর ১৫ দিন এগিয়ে নিয়ে জুনের মাঝামাঝিতে শুরু হয়েছে তুলা মৌসুম। অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম এবং বিক্রয়মূল্য সব স্থানে একই রকম থাকায় তুলা আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা ।
২০১৬-১৭ মৌসুমে ২ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে পণ্যটির আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে ৬ হাজার ১৭১ টন বীজ তুলা ও ১২ হাজার ৮৮০ বেল আঁশ তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা নিয়ে রংপুর জোন।
তবে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নে এ বছর সবচেয়ে বেশি তুলা আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে ২ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৯১ টন বীজ তুলা ও ১৩ হাজার ৩৯৩ বেল আঁশ তুলা উৎপাদন হয়েছিল। গেল মৌসুমে আঁশ তুলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি মণ ২ হাজার ১০০ টাকায়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড, রংপুর জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে তুলার যে ফলন পাওয়া যায় এর বিক্রয়মূল্য অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই অনেক কৃষক তুলা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। চলতি তুলা মৌসুম ১৫ দিন আগে শুরু হয়েছে।
জমিতে পোকার আক্রমণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তুলার জমিতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয় জেসিক পোকার। পোকাটি পাতার নিচে অবস্থান করে রস চুষে খায়। পরে পাতাটি বিবর্ণ হয়ে মরে যায়। এ ধরনের পোকার আক্রমণ বন্ধ করতে ১২ দিন পর পর জমিতে এবামেট্রিন গ্রুপের ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।
FROM বাংলা আ্যাপারেল ডেস্ক