সুস্থ থাকতে রোজ লবণ পানিতে গোসল করুন, ১০ উপকারিতা

Author Topic: সুস্থ থাকতে রোজ লবণ পানিতে গোসল করুন, ১০ উপকারিতা  (Read 844 times)

Offline sanjida.dhaka

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 228
    • View Profile

সমুদ্রে বেড়াতে যেতে ভালবাসেন? বালির চড়ে বসে সামনে বিশাল নীল সমুদ্র দেখতে দেখতে মন যেমন প্রশান্ত হয়, তেমনই সমুদ্রের পানিতে গোসল করে শরীরও যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। কেন বলুন তো? কারণ, লবণ পানিতে রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ। যা আপনার ব্যথা সারিয়ে, ক্লান্তি কাটিয়ে ভিতর থেকে তরতাজা করে তোলে আপনাকে। তবে চাইলে সমুদ্র গোসলের অনুভূতিআপনি বাড়িতেই পেতে পারেন। গরমে রোজ লবণ পানিতে গোসল করে দেখুন। তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

১. রিল্যাক্সেশনঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, পেশী শিথিল হয়।
ফলে আপনাকে রিল্যাক্সড রাখে।

২. ত্বকঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল দেখায়।

৩. ডিটক্সঃ-
লবণ পানিতে গোসল শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন সম্পূর্ণ দূর করে আপনাকে ঝরঝরে রাখে নুন জলে স্নান।

৪. বয়সঃ-
নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপও দেরিতে পড়ে। আর্দ্রতা বজায় থাকায় চেহারায় গ্লো আসে। ফলে বয়স দেখতে অনেক কম।

৫. আর্থারাইটিসঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিছুটা মেটে। নিয়মিত এটা করলে বাতের ব্যথা কমে যায়।

৬. ইনফেকশনঃ-
লবণ পানিতে হিলিং গুণ রয়েছে। নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে ইনফেকশন, ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূরে রাখতে পারবেন।

৭. স্ট্রেসঃ-
শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশী শিথিল করে। ফলে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গরম কালে রোজ বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে অনেক হালকা লাগবে নিজেকে।

৮. ইনসমনিয়াঃ-
বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে স্ট্রেস কমে, শরীর, মন হালকা লাগে। ফলে রাতে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রা দূরে থাকে।

৯. এনার্জিঃ-
রাতে লবণ পানিতে গোসল করলে যেমন ইনসমনিয়া দূরে থাকে, সকালে লবণ পানিতে গোসল করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার ফলে কাজের এনার্জিও বাড়ে।

১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:-
প্রতি দিন লবণ পানিতে গোসল শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়।