Health Tips > Liver

Please note that removing fat from the liver will be drinking ...

(1/1)

rumman:
একজন মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য তার সবগুলো অঙ্গের সুস্থতা দরকার। তা সেটা বাহ্যিকভাবে হোক অথবা অভ্যন্তরীণভাবে হোক। আমাদের শরীরের ভেতরের সমস্যা থেকেই শরীরের বাইরে সমস্যা দেখা দেয়। যেকোনো একটি অঙ্গ বাদ দিলেই মানুষ অচল হয়ে পড়তে পারে। আমাদের দেহের একেকটি অঙ্গ অপর অঙ্গের পরিপূরক। তাই আমাদের উচিত সব অঙ্গের সমানভাবে যত্ন নেওয়া।
তবে ওষুধের প্রতি বেশি নির্ভরশীল না হয়ে বাড়িতে প্রাকৃতিকভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া ভালো। সুস্থ থাকার জন্য অবশ্য সারা বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং সবুজ শাকসবজি খান তাহলে দেখবেন গত বছরের তুলনায় এই বছরে আপনার রোগ বালাই কম হয়েছে।
লিভার বা যকৃত মানুষের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ। শরীরে লিভারের কাজ হলো খাদ্য ও চর্বিকে পরিশুদ্ধ করা, টক্সিন দূর করা, খাবার থেকে দেহের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্যগুলো সরিয়ে ফেলা। যদি কোনো কারণে লিভার হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়বো এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। তাই সবাই উচিত লিভারের যত্ন নেওয়া।
লিভারের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে একটি হলো লিভারে চর্বি জমে যাওয়া। সাধারণত ডাক্তারের কাছে গেলে, এই সমস্যার কারণে দীর্ঘ মেয়াদী ওষুধ দিয়ে দেন। আবার সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্যও ওষুধ খেতে হয়। তবে আপনি জানেন কী যে, বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে লিভার থেকে চর্বি দূর করা সম্ভব। শুধু চর্বি নয় এটি আপনার সম্পূর্ণ লিভারকে পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করে দেবে। আর এজন্য আপনাকে আপনাকে পান করতে হবে একটি পানীয়। লিভারের পাশাপাশি এই পানীয় আপনার শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। জেনে নিন, ঘরে কীভাবে তৈরি করবেন লিভারের জন্য উপকারী এই পানীয়।
প্রয়োজনীয় উপাদান:
* ১২৫ গ্রাম সতেজ বাঁধাকপি
* ১টি লেবু
* ২৫ গ্রাম সতেজ পুইশাক
* ২৫০ গ্রাম সতেজ নাশপাতি
* এক টুকরা আদা (২ সে.মি. লম্বা)
* ৫০০ মিলি লিটার পানি
* ১০ গ্রাম পুদিনা পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
বাঁধাকপি, পুইশাক, নাশপাতি এবং পুদিনা পাতা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। অর্ধেকটা পানি মেশান। এর পর ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরোপুরি ব্লেন্ড হয়ে গেলে লেবুর রস এবং বাকি পানি টুকু দিয়ে দিন। এর পর আবার ব্লেন্ড করুন। ব্যস হয়ে গেল। এবার গ্লাসে ঢেলে খেয়ে নিন।
ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন দুবার করে খাবেন। সকালে এবং সন্ধ্যায়। এতে আপনার লিভারসহ সম্পূর্ণ শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়ে যাবে। নিজেকে বেশ সতেজ মনে হবে। যদিও পানীয়টি খেতে একেবারেই সুস্বাদু নয় তবুও যদি আপনি এই পানীয়টি আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী বানাতে পারেন বা আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনি হয়ে উঠবেন কম রোগ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version