গত মৌসুমে ঠিক এই সময়টির কথা ভাবলে আঁতকে ওঠেন চেলসি সমর্থকেরা। কী অবস্থা ছিল দলের। হারতে হারতে লিগ তালিকার একেবারে তলানিতে ছিল প্রিয় ক্লাবের অবস্থান। কিন্তু এই মৌসুমে এখনো পর্যন্ত অনেক ভালো অবস্থায় দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ১০ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকাটা স্বস্তির তো বটেই। বিশেষ করে ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল আর লিভারপুলের চেয়ে সঙ্গে চেলসির পয়েন্টের ব্যবধান যখন মাত্র ১!
কাল সাউদাম্পটনের মাঠ থেকে আরও একটি দারুণ জয় নিয়ে ফিরেছে চেলসি। এডেন হ্যাজার্ড ও কস্তার গোলে স্টামফোর্ড ব্রিজের সৈনিকদের জয় ২-০ গোলে।
গত মৌসুমে হ্যাজার্ড আর কস্তার বাজে ফর্মই তো চেলসিকে ভুগিয়েছিল। দলের করুণ দশায় চাকরি হারিয়েছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। এবার অবশ্য এই দুজন ২০১৪-১৫ মৌসুম ফেরাতে পারবেন কিনা, সেটি সময়ের হাতে থাকলেও এখনো পর্যন্ত ভালোই খেলছেন তাঁরা।
প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন হ্যাজার্ড। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে কালকের গোলটি আসে ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায়। এখনো পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে তাঁর গোল পাঁচটি। গত মৌসুমের এই সময় গোলের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ভিক্টর মোজেসের সঙ্গে হ্যাজার্ডের দারুণ এক বোঝাপড়ার ফল ছিল এই গোলটি।
কস্তার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। চেলসির নীল জার্সি গায়ে চাপিয়ে প্রথম মৌসুমে তিনি যে ধরনের ফুটবল খেলেছিলেন, গত মৌসুমে সেটি ছিল একেবারেই অনুপস্থিত। এই মৌসুমে এখনো পর্যন্ত তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে গেছে আটটি গোল। গত মৌসুমে আট গোল পেতে পেতে তাঁর জানুয়ারি গড়িয়ে গিয়েছিল। বছরের শেষ দিকে মরিনহো যখন বরখাস্ত হন, তখন তাঁর গোল ছিল মাত্র দুটি। কাল তিনি ৫৫ মিনিটের দুর্দান্ত এক গোলে চেলসিকে এনে দেন ২-০ গোলের লিড। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে কস্তার বাঁকানো শটটি দ্বিতীয় বার দিয়ে প্রবেশ করে সাউদাম্পটনের গোলে।
ম্যাচ শেষে এই দুই খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি চেলসি কোচ অ্যান্তনীয় কন্তে, ‘যখন হ্যাজার্ড, কস্তার মতো খেলোয়াড়েরা মাঠে পরিশ্রম করে খেলতে থাকে, তখন যে কোনো কোচেরই খুশি হওয়ার কথা। ওরা দুজনেই স্ট্রাইকার। বিশেষ করে একজন স্ট্রাইকারের পক্ষে দলের জন্য বাড়তি পরিশ্রম করাটা বেশ কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটি তারা সুন্দর করেই করছে। এই ম্যাচের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। দলের খেলোয়াড়দের দায়িত্ববোধ, পরিশ্রম ছিল দুর্দান্ত। সূত্র: রয়টার্স।