আর্জেন্টিনার মুখোমুখি ব্রাজিল : আগামীকাল ভোর পৌনে ৬টায় দুঃস্মৃতির মাঠে সুখস্

Author Topic: আর্জেন্টিনার মুখোমুখি ব্রাজিল : আগামীকাল ভোর পৌনে ৬টায় দুঃস্মৃতির মাঠে সুখস্  (Read 1116 times)

Offline Shakil Ahmad

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 374
  • Test
    • View Profile
মাঠটা সেই একই আছে। মাসটা শুধু বদলেছে। দুই বছর আগের ম্যাচটা ছিল জুলাইতে। এটা নভেম্বরে। বদলেছে প্রতিপক্ষও। বেলো হরিজন্তের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে সেদিন প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি, এবার আর্জেন্টিনা। কিন্তু এ মাঠে ব্রাজিল যতবার ফিরবে, দুই বছর আগে ৭-১ গোলে হারা ম্যাচটার দুঃসহ স্মৃতিটাও তাড়া করবে। জুলাইয়ের সেই দুঃখের ওপর কি নভেম্বরের এই ম্যাচ দিয়ে একটু প্রলেপ দিতে পারবে ব্রাজিল?

পার্থক্য আরও আছে। ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে লজ্জাজনক সেই ম্যাচটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোরে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ম্যাচটা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের। আর এক প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জা কি অন্য কারও বিপক্ষে জয় দিয়ে ভোলা যায়? ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দলের মিডফিল্ডার টোস্টাও অবশ্য এ রকমই কিছু একটা আশা করছেন, ‘এই ম্যাচটাই হতে পারে আমাদের হতাশা আর শোকের প্রতীকী সমাপ্তি। নাই-বা হলো ম্যাচটা জার্মানির বিপক্ষে।’

যদিও এই ব্রাজিল দলের মিডফিল্ডার রেনাতো অগুস্তোর মতে, সমাপ্তি যদি হয়ও সেটা প্রতীকীই হবে, সত্যিকারের নয়। আর্জেন্টিনা ম্যাচটা সামনে রেখে তাই বলেছেন, ‘ওই ক্ষত (৭-১ গোলের হার) আসলে রয়েই যাবে। যেটা হতে পারে, এই ম্যাচ জিতলে আমাদের বুক থেকে বোঝা কিছুটা নেমে যাবে।’ বুঝতেই পারছেন মিনেইরাও স্টেডিয়ামের এই ম্যাচ কেন ব্রাজিলের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ!

এর চেয়েও ম্যাচটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর্জেন্টিনার কাছে। চোটের কারণে অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে হারানোর পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিনটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। একটা হেরেছে, বাকি দুটি ড্র। সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচে মাত্র ৪ জয় নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এখন আর্জেন্টিনা ৬ নম্বরে। ব্রাজিলের কাছে হার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে। আর তখন সেরা চারে থেকে আর্জেন্টিনার সরাসরি বিশ্বকাপ খেলাটা একটু অনিশ্চিতই হয়ে পড়বে।

একেবারে উল্টো অবস্থা ব্রাজিলের। কিছুটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা ব্রাজিল সর্বশেষ চার ম্যাচের সবগুলো জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। গত সপ্তাহেই তাই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করতে গিয়ে ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রশংসা করার মতো বিশেষণ আমার কাছে নেই। যেকোনো ব্রাজিল কোচের জন্য স্বপ্নের মতো সময় কাটছে আমার।’

ওদিকে আর্জেন্টিনার কোচ এদগার্দো বাউজার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বেড়েই যাচ্ছে। আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর অধীনে ৪ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জিতেছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ জিততে না পারলে আরও চাপে পড়ে যাবেন তিনি।

সেই চাপ থেকে মুক্তির জন্য কাল বাউজা মূলত তাকিয়ে থাকবেন মেসির দিকে। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সেই ফর্মটা যদি কালও টেনে আনতে পারেন, তাহলে আপাতত স্বস্তি পাবেন বাউজা।

গোল হয়তো এত পাচ্ছেন না। কিন্তু বার্সার হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন নেইমারও। সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে মেসির গোলটা তো তাঁরই সহায়তায়। ওই ম্যাচ শেষেই দুই বন্ধু নেইমারের ব্যক্তিগত বিমানে করেই এসেছেন ব্রাজিলে।

দুজন ফিরেও যেতে পারেন একই বিমানে। তবে মাঝখানে ম্যাচের সময়টুকুতে এই বন্ধুত্ব কিন্তু ভুলে থাকবেন দুজনই! এএফপি, রয়টার্স।