মাত্র ১৯ বছর ২৯৭ দিন বয়সেই ইতিহাস গড়লেন হাসিব হামিদ। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সী ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক হল তাঁর। টেস্টে তিনি অবশ্য সবচেয়ে কম বয়সী ইংলিশ ক্রিকেটার নন। তাঁর চেয়ে কম বয়সে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে আরও ৪ ক্রিকেটারের। এই চারজন হলেন-জ্যাক ক্রফোর্ড, ডেনিস কম্পটন, ব্রায়ান ক্লোজ ও বেন হোলিওক।
এঁদের মধ্যে ডেনিস কম্পটন হলেন একমাত্র বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান, ১৯৩৭ সালে অভিষেকের সময় যাঁর বয়স ছিল হাসিবের চেয়ে কম। ১৯ বছর ৮৩ দিন বয়সে তাঁর অভিষেক হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, কেনিংটন ওভালে।
ইংল্যান্ডের পক্ষে এখনো সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষিক্ত ক্রিকেটার হচ্ছেন ব্রায়ান ক্লোজ। ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৮ বছর ১৪৯ দিন বয়সে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিনি খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯০৫/০৬ মৌসুমে জোহানেসবার্গে ১৯ বছর ৩২ দিন বয়সে টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জ্যাক ক্রফোর্ডের। ১৯৯৭ সালে নটিংহামের ট্রেন্টব্রিজে ১৯ বছর ২৬৯ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল বেন হোলিওকের। ২০০২ সালের ২৩ মার্চ পার্থে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন বেন হোলিওক।
বাংলাদেশ সফরেই ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ছিলেন হাসিব হামিদ। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও টেস্ট অভিষেকটা হয়নি তাঁর। তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয় বেন ডাকেটকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্যারি ব্যালান্সের বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে কপাল খুলে গেল হাসিবের। প্রথমে অবশ্য ব্যালান্সের জায়গায় খেলার কথা ছিল জস বাটলারের। সোমবার পর্যন্ত সেটিই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। তবে গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হয় হাসিবের অভিষেকের।
অভিষেকের জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর পেতেন না হাসিব। তাঁর বাবা-মা দুজনই গুজরাটি। ভারতের গুজরাট থেকেই একটা সময় তাঁরা চলে গিয়েছিলেন ল্যাঙ্কাশায়ারে। সেখানেই হাসিবের জন্ম, বেড়ে ওঠা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। গত আগস্টেই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে তিনটি ফিফটি ও দুটি সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটে। ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে রেকর্ডটাও এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো। ৪৮.৫০ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৪শ ৫৫ রান। সেঞ্চুরি আছে ৪টি, ফিফটি ৯।
২০০১ সালে মাইক আথারটনের অবসরের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে হাসিবই প্রথম ল্যাঙ্কাশায়ার ওপেনার।