শেষ পর্যন্ত কী করবে বাফুফে ডিএফএ নিয়ে নতুন চিন্তা

Author Topic: শেষ পর্যন্ত কী করবে বাফুফে ডিএফএ নিয়ে নতুন চিন্তা  (Read 1100 times)

Offline Shakil Ahmad

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 374
  • Test
    • View Profile

ফুটবলের সাম্প্রতিক ভরাডুবির কারণ কী? নানাজনের নানা মত। তবে পরোক্ষভাবে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) নিষ্ক্রিয়তাকে বড় কারণ বলছেন বাফুফের অনেকেই। জেলা লিগ নিয়মিত না হওয়ার কুফলই বাংলাদেশের ফিফা র‍্যাঙ্কিং ১৮৮-তে নেমে যাওয়া।

২০০৮ সালে বাফুফের সভাপতি হিসেবে সালাউদ্দিন-যুগ শুরুর কেবলই আগে গঠিত হয় ডিএফএ। আগে জেলার ফুটবল পরিচালিত হতো জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) অধীনে। ফিফার ব্যবস্থাপত্রে ডিএসএ থেকে বেরিয়ে জেলার ফুটবল পায় নিজস্ব সংগঠন ডিএফএ। কিন্তু গত প্রায় নয় বছরেও ডিএফএ স্বাবলম্বী হতে পারেনি। এগুলোর বেশির ভাগেরই চালচুলো নেই।

ডিএফএকে সক্রিয় করার উপায় খুঁজতে গত এপ্রিলে বাফুফের নির্বাচনের আগে তিন কর্মকর্তা যান জুরিখে ফিফার দপ্তরে। তাঁরা সেখানে গিয়ে বলেন, ডিএফএর সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা না থাকায় জেলায় ফুটবলের জন্য মাঠ পায় না ডিএফএ। সবকিছুই ডিএসএ নিয়ন্ত্রণ করছে। কাজেই সরকারের সহায়তা পেতে ডিএফএকে ঢেলে সাজাতে হবে।

সেই সফরে যাওয়া বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায় বলেন, ‘আমাদের কথা শুনে ফিফার কর্মকর্তারা বললেন, জেলায় ফুটবল কীভাবে চলবে, সেটা তোমরাই ঠিক কর। ফেডারেশনে এ নিয়ে আলোচনারও পরামর্শ দেন তাঁরা।’

কিন্তু নির্বাচনের পর ছয় মাস পেরোলেও সেই আলোচনা নেই। তবে কদিন আগে ঢাকায় আসা ফিফার প্রতিনিধিদলের কাছে বিষয়টা তুলেছিলেন বাফুফের দু-একজন কর্মকর্তা। এবারও ফিফার প্রতিনিধিরা আগেই কথা বলেছেন। আর বলেছেন নিজেরা আলোচনা করে দ্রুত ফিফার কাছে প্রস্তাব পাঠাতে।

কী প্রস্তাব পাঠানো হবে, সেটাই ঠিক করে উঠতে পারছেন না কর্তারা। তবে বাদল রায় বলছেন, ‘আর কালক্ষেপণের সময় নেই। আমরা ফিফাকে বলেছি, এই ডিএফএ দিয়ে খেলা হচ্ছে না। গত নয় বছরে জেলার ফুটবল মরে গেছে।’ যদিও বাফুফের পরিকল্পনাহীনতা আর তৃণমূলের উদ্যোগের অভাবই ফুটবলের দুরবস্থার বড় কারণ। তবু বাদল বলছেন, ‘ডিএফএ রাখতেই হলে ডিএসএর সাধারণ সম্পাদককে ডিএফএর সভাপতি করার চিন্তা করেছিলাম আমরা। কিন্তু ২৫-৩০টা খেলা চালিয়ে ডিএসএর সম্পাদক কখন ফুটবল চালাবেন, সেই প্রশ্ন আসেই। তাই ভাবনাটা জোরালো ভিত্তি পায়নি।’

বিকল্প হিসেবে ডিএফএ বাতিল করে আবার ডিএসএতে একীভূত হওয়ার চিন্তাও নাকি চলছে! সেটা হলে ফুটবল আবার নয় বছর পেছনেই ফিরে যাবে। এমন কিছু চিন্তা করার কারণটাও বললেন বাদল, ‘এখন ডিএসএর মূল ইভেন্ট ক্রিকেট। শোনা যাচ্ছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা হওয়ায় জেলার ক্রিকেট ডিএসএর হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডিএফএ বাতিল করে ডিএসএতে ঢুকলে ফুটবলই এক নম্বর খেলা হবে।’

তবে যেটাই করা হোক, এটা সত্য, ডিএফএ নামের শিশুটিকে ঠিকভাবে লালন-পালন করতে পারেনি ফেডারেশন। এখন কী করা হবে তা নিয়েই পথ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন কর্তারা।