মোহাম্মদ শেহজাদ যে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে জানেন, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। কাল চিটাগং ভাইকিংস টের পেল রংপুর রাইডার্সের আফগান ওপেনারের ঝাঁজ! শেহজাদ-ঝড়ে উড়ে গেছে চিটাগং। রংপুর ৩০ বল বাকি থাকতেই পেয়েছে ৯ উইকেটের বড় জয়।
হাফ সেঞ্চুরির পর শেহজাদের উদ্যাপনে থাকল বুনো উচ্ছ্বাস। প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে এসেছেন আর প্রথম ম্যাচেই ফিফটি। উদ্যাপন তো এমন হবেই। ২২ গজে রংপুর ওপেনারের সবকিছুই ছিল উপভোগ্য। ৫২ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসটা বিনোদন জুগিয়েছে দর্শকদের। টি-টোয়েন্টির দাবি মেনে অপ্রথাগত সব শটে দলকে এনে দিয়েছেন সহজ এক জয়। সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন তাসকিন আহমেদকে। তাঁর তিন ছক্কার দুটিই চিটাগং ভাইকিংসের পেসারের বলে। তাসকিনের শেষ ওভারে তুলেছেন ১৮ রান। টাইমাল মিলস অবশ্য কপাল চাপড়াতে পারেন। শোয়েব মালিকের বলে মাত্র ১৮ রানের মাথায় মিড উইকেটে শেহজাদের সহজ ক্যাচটি তিনি না ছাড়লে ম্যাচের গল্পটা একটু অন্য রকম হতেই পারত।
সৌম্য সরকারের সঙ্গে শেহজাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭৭ রান। মিলসের প্রথম ওভারে চোখজুড়ানো দুই চার ছক্কায় দিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন সৌম্য। কিন্তু ওই মিলসের দুর্দান্ত এক বলেই শেষ তাঁর ২৩ রানের ইনিংসটি। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি রংপুরের। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বাকি পথটা অনায়াসে পাড়ি দেন শেহজাদ।
গত বিপিএলে দেখা গেছে তামিম ইকবাল জ্বলে না উঠলে নিষ্প্রভ চট্টগ্রাম। কালও সেই একই ছবি। সোহাগ গাজীর নিচু হয়ে আসা বলটা কাট করতে গিয়ে তামিম বোল্ড ১১ রানে। অধিনায়ককে হারিয়েও শোয়েব মালিক-এনামুল হকের তৃতীয় উইকেটজুটি ৪৮ রান যোগ করে অবশ্য ভালোই এগোচ্ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু এনামুলের অদ্ভুত রান আউটের পর সেই যে পথ হারাল চট্টগ্রাম, আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের। ৭.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান থেকে ১৯.৪ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট। সৌম্যর সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটের আগে মালিকের ৩০ রানই চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস: ১৯.৪ ওভারে ১২৪ (তামিম ১১, স্মিথ ১০, এনামুল ২৫, মালিক ৩০, জহুরুল ৩, নবী ৫, জাকির ৯, মিলন ১১, রাজ্জাক ৪*, তাসকিন ১, মিলস ৫; সোহাগ ২/১৮, গ্লিসন ২/৩০, সানি ১/১৯, ডসন ০/২২, আফ্রিদি ১/১২, রুবেল ১/২২)। রংপুর রাইডার্স: ১৫ ওভারে ১২৫/১ (শেহজাদ ৮০*, সৌম্য ২৩, মিঠুন ১২*; রাজ্জাক ০/২৪, নবী ০/১০, মিলস ১/৩০, স্মিথ ০/২০, মালিক ০/৬, তাসকিন ০/৩৫)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ শেহজাদ।