Faculties and Departments > Business Administration
দেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা কমেছে: ফ্রিডম হাউস
(1/1)
Shakil Ahmad:
গত বছরের চেয়ে এ বছর ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক নজরদারি সংগঠন ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এবারের স্কোর ১০০-র মধ্যে ৫৬, যা গত বছর ছিল ৫১। ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘আংশিক মুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফ্রিডম হাউস। ১০০-র মধ্যে পয়েন্ট যত কম হবে, সেই দেশটি ইন্টারনেট স্বাধীনতার দিক থেকে তত উদার। পয়েন্টের দিক থেকে শূন্য থেকে ৩০ হলে, সে দেশটি ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে স্বাধীন হিসেবে ধরা হয়েছে। পয়েন্ট ৩১ থেকে ৬০ হলে সে দেশটিকে আংশিক স্বাধীন বলে উল্লেখ করেছে ফ্রিডম হাউস। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত তথ্যকে বিবেচনায় ধরেছে ফ্রিডম হাউস।
.বাংলাদেশ নিয়ে ফ্রিডম হাউসের করা চার্টে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ। এতে দেখানো হয়েছে, এখনকার ইন্টারনেট সুবিধা পায় ১৪ শতাংশ মানুষ। এখানে সোশ্যাল মিডিয়া/আইসিটি অ্যাপ বন্ধ, রাজনৈতিক/সামাজিক বিষয়বস্তুর ওপর লেখা বন্ধ, ব্লগার/তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী আটকের ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে গণমাধ্যম স্বাধীন নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্কোরের ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটে যেতে বাধার ক্ষেত্রে ২৫-এর মধ্যে ১৪, বিষয়বস্তু সীমিত করার ক্ষেত্রে ৩৫-এর মধ্যে ১৪ ও ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ৪০-এর মধ্যে ২৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫১ এবং ২০১৪ সালে ছিল ৪৯। ২০১৩ সালেও স্কোর ছিল ৪৯। অর্থাৎ, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা কমছে।
ফ্রিডম হাউসের এবারের প্রতিবেদনে বিশ্বের প্রায় ৮৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা তুলে আনা হয়েছে। এবারের প্রতিবেদনে যে ৬৫টি দেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতার অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে, এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি (৩৪টি দেশে) দেশে গত বছরের তুলনায় ইন্টারনেট স্বাধীনতা কমতে দেখা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে উগান্ডা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ইকুয়েডর ও লিবিয়ায়।
কয়েক দশক ধরে বাক্স্বাধীনতা, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে ফ্রিডম হাউস। গত কয়েক বছরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটের স্বাধীনতা নিয়ে এর গবেষণা বাড়িয়েছে। ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে টানা ছয় বছর ধরেই ইন্টারনেট স্বাধীনতা কমে আসার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৩ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়াচ্ছে। ২০১৪ সালে ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও আটকের ঘটনা বাড়তে দেখা যায়। ২০১৫ সালেও একই ঘটনা আরও বেড়ে যায়; সঙ্গে এনক্রিপশন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান উঠে আসে। গত বছর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে সরকার। এবারের প্রতিবেদনে সে বিষয়টিই উঠে এসেছে।
গত বছরের প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশনে বাধা দেওয়া সরকারের সংখ্যা ছিল ১৫। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২৪।
ফ্রিডম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বন্ধ হওয়া অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারকারীর চেয়ে এ বছর ফেসবুক ব্যবহারকারী আটক হয়েছেন বেশি। এ বছর ২৭টি দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী আটক হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগে কিছু লিখে এবার ৩৮টি দেশে আটক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২১।
উদার ইন্টারনেটের দেশ হিসেবে এবারও শীর্ষে আছে এস্তোনিয়া ও আইসল্যান্ড। এরপর আছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাজ্য।
এবারের ইন্টারনেট স্বাধীনতা প্রতিবেদন তৈরিতে তহবিল জুগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবার, স্কোলস ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্টারনেট সোসাইটি, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু ও টুইটার।
বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ফ্রিডম হাউসের তথ্যের লিংক https://freedomhouse.org/report/freedom-net/2016/bangladesh
smriti.te:
Bad news....
Bipasha Matin:
Sad but true
Navigation
[0] Message Index
Go to full version