Entertainment & Discussions > Football

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ইংল্যান্ড-স্পেন ড্র

(1/1)

Anuz:
ম্যাচ শেষ হতে তখন বাকি আর মিনিট কয়েক। দুই গোলে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে দারুণ এক জয়ের হাতছানি। জয়োৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় সমর্থকরা; কিন্তু শেষ দিকের নাটকীয়তায় সব ভেস্তে গেল। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্পেন, মুহূর্তের ব্যবধানে দুবার বল জালে পাঠিয়ে হার এড়ালো ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ২-২ ড্রয়ে শেষ হয়। হারতে বসা ম্যাচে শেষ মুহূর্তের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, স্পেন সমর্থকদের জন্য জয়ের আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। দুই দলের গত পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যাতে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ডই। চার হার ও এক জয়। তবে ওই একটি মাত্র জয়ই স্পেনের বিপক্ষে ইংলিশরা পেয়েছিল ওয়েম্বলিতে; ২০১১ সালের নভেম্বরে। চেনা মাঠে পাঁচ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হতে হতেও হলো না ইংলিশদের।
ওয়েম্বলিতে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের নবম মিনিটেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। লালানার লম্বা করে বাড়ানো বল ডি বক্সের মধ্যে ভার্ডি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তাকে ফেলে দেন স্পেন গোলরক্ষক পেপে রেইনা। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি লালানার। জাতীয় দলের হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন তিনি।
ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার পর খেলার গতি কমে। ভার্ডি-স্টার্লিংদের আক্রমণের ধার যায় হারিয়ে। দাভিদ সিলভা, ভিতোলোদের মধ্যেও সমতায় ফেরার মরিয়া ভাব দেখা যাচ্ছিল না।
২৭তম মিনিটে চোট পেয়ে লালানার বাইরে চলে যাওয়াই ছিল প্রথমার্ধের বাকি সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। লিভারপুলের এই মিডফিল্ডারের জায়গায় আর্সেনালের ফরোয়ার্ড থিও ওয়ালকটকে নামান কোচ।গোছানো আক্রমণ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ইংল্যান্ড। জর্ডান হেন্ডারসনের মাপা ক্রসে ভার্ডির নীচু হয়ে ঝাঁপিয়ে নেওয়া বুলেট গতির হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। এ নিয়ে ১৪ ম্যাচ ধরে চলা গোল খরা কাটালেন লেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
দুই গোল হজম করে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্পেন। ৫৬তম মিনিটে সিলভার শট আটকে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচে ফিরতে দেননি জো হার্টের বদলি নামা গোলরক্ষক টম হিটোন। এরপর কোকের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটও জমে যায় হিটোনের গ্লাভসে।
দুই বদলি খেলোয়াড়ের দারুণ বোঝাপড়ায় ৯০তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে স্পেন। মাঝ মাঠ থেকে আক্রমণে যাওয়া আলভারো মোরাতার পাস ধরে ডান দিক থেকে ডি বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইয়াগো আসপাস।
মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানানো স্পেন সমতায় ফেরা গোলও পেয়ে যায় যোগ করা সময়ে। দানি কারবাহালের লম্বা করে বাড়ানো ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে হিটোনকে পরাস্ত করে ইসকো। একটু পরই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি।

smriti.te:
Unexpected......anything canb happened in football match...

maisalim2008:
 :o :(

Navigation

[0] Message Index

Go to full version