Religion & Belief (Alor Pothay) > Islam

শিশুর নাম নির্বাচনে চাই সতর্কতা

(1/1)

Karim Sarker(Sohel):
শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তার আকিকা করা ও নাম রাখা পিতা-মাতার দায়িত্ব। শিশুর জন্মের পর সপ্তম দিন আকিকা ও নাম রাখা সুন্নত। হাদিসে জন্মের পর পরই নাম রাখার কথা বলা হয়েছে, আবার জন্মের পর তৃতীয় দিবসে নাম রাখার কথাও উল্লেখ আছে।

তবে নাম যখনই রাখা হোক না কেন, নামকরণের ক্ষেত্রে উত্তম নাম তালাশ করা উচিত। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুর সুন্দর নাম রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদের ডাকা হবে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে। তাই তোমাদের নামগুলো সুন্দর রাখো।’

হজরত নবী করিম (সা.)-এর কাছে কোনো নতুন ব্যক্তি এলে তার নাম জিজ্ঞাসা করতেন, অপছন্দ হলে সে নাম পরিবর্তন করতেন। যেমন তিনি আসিয়া (বিদ্রোহিনী) নাম পরিবর্তন করে জামিলা (সুন্দরী) নাম দিয়েছিলেন। আর আসসারম (কঠোর) নাম পরিবর্তন করে সাঈদ (সৌভাগ্যবান) নামকরণ করেছিলেন। তিনি এভাবে অনেকের নাম পরিবর্তন করেন।

মানুষ একে অপরকে নাম ধরেই ডাকে। কারও সঙ্গে পরিচয়ের শুরুতেই জানতে চায় আপনার নাম কী? বিশেষত একজন শিশুর সঙ্গে কারো দেখা বা পরিচয় হলে তার নাম জানতে চায়। তাই শিশুর জীবনে নামকরণের বিরাট প্রভাব পড়ে। এ কারণে সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়া জরুরি।

হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহতায়ালার সিফাতি বা গুণবাচক নামের আগে আবদ যোগ করে আবদুল্লাহ নাম রাখা উত্তম। যেমন আবদুর রহমান, আবদুল করিম প্রভৃতি। তবে এ ক্ষেত্রে নাম ডাকার সময় অবশ্যই আবদ যোগ করে ডাকতে হবে। কিন্তু অনেককে দেখা যায় আবদ যোগ না করে শুধু রহিম, রহমান, এ ধরনের আল্লাহর সিফাতি নাম ধরে ডাকেন- এটা অনূচিত। নামকরণের ক্ষেত্রে অর্থবহ সুন্দর নাম রাখা উত্তম।

অনেকের খুব দীর্ঘ নাম রাখা হয়, যার কারণে পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়। যাদের নাম খুব দীর্ঘ তারা অন্য কোনো দেশে গেলে অনেক সময় পরিচিত নামটি হারিয়ে যায়। সে হিসেবে বলা যায়, একজন শিশুর সুন্দর, অর্থবহ, সংক্ষিপ্ত, শ্রুতিমধুর নাম হওয়া ভালো। কারণ, সুন্দর অর্থবোধক, মার্জিত, ইসলামি ভাবধারায় উজ্জীবিত নাম রাখলে তা শিশুর জীবনে প্রভাব পড়ে।

Collected .....

Navigation

[0] Message Index

Go to full version