Health Tips > Food Habit
মধু কেন খাবেন
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
মধুর গুণ অনেক। কেউ কেউ বলেন, এটি সর্বরোগের মহৌষধ। চলুন জেনে নিই, মধুতে কী কী উপাদান আছে। ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মাল্টোজ। এর সবগুলোই শর্করা। এ ছাড়া আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ ও এনজাইম।
১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে বিদ্যমান শর্করা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। তাই এটি রেডি এনার্জি হিসেবে কাজ করে। আধা গ্লাস হালকা গরম লেবুপানিতে এক চা-চামচ মধু ভোরবেলায় খালি পেটে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রক্তস্বল্পতায় মধু বেশ কার্যকর ওষুধ। কেননা, এতে কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রন রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এটা প্রমাণিত যে দেহের ক্ষত নিরাময়ে মধু চমৎকার কাজ করে। এটি জীবাণুনাশক ও ব্যথা প্রশমক। তাই অনেক সময় শল্যচিকিৎসায় মধু ড্রেসিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ সর্দি-কাশি ও ফ্যারিনজাইটিসে মধু উপকারী।
মধুমিশ্রিত পানি দিয়ে কুলি করলে মাড়ির প্রদাহ কমে। এ ছাড়া দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। হজমের গোলমালেও মধুর উপকারিতা আছে। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমায় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা দূর হয়। মধু বিপাকজনিত তাপ উৎপাদন বাড়ায় বলে শীতকালে দেহের উষ্ণতা বাড়ায়।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে মধু। তাই তাঁরা সরাসরি মধু না খেলেই ভালো হয়। এ ছাড়া ওজন কমানোর বেলায় মধুরকোনো ভূমিকা নেই। নবজাতকের মুখে মধু দেওয়ার যে রীতি চালু আছে, তা-ও বিপজ্জনক। কারণ নবজাতককে বুকের দুধ ছাড়া কিছু দেওয়া যাবে না।
Collected-
Navigation
[0] Message Index
Go to full version