Health Tips > Food Habit
শুধু আমিষ
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
শরীরের জন্য আমিষ, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের প্রতিটা অংশ এবং কোষে প্রোটিন রয়েছে। শরীর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। প্রোটিন সাধারণত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি।
যেসব খাবার থেকে প্রোটিন পাই
বিভিন্ন প্রাণিজ উৎস যেমন: মাছ, মাংস বিশেষ করে ডিমের ভেতর প্রোটিনের পরিমাণ বেশি।
এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন: শিম, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা ইত্যাদি।
অনেকে মনে করেন ডায়েট করলে প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত কিন্তু সেটি আসলে ভুল। ডায়েটের সময়েও শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিন দুই-তিনবার আমিষযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শরীরের গঠন অনুযায়ী একেকজনের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম হতে পারে। এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন থেকে তার প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের ভেতরে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলোকে ক্লাস ১ প্রোটিন বলা হয়। এসব খাবার খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। ডাল, ছোলা, বুট, বাদাম ইত্যাদিতেও প্রোটিন থাকে।
১৮ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মানুষের প্রতিদিন ২-২.৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। এই বয়সের পর থেকে ক্যালরির দরকার হয়। তবে বয়স একটু বেশি হলে শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন কম হয়।
দ্য ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে প্রতি ২০ পাউন্ড ওজনের জন্য ৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন এবং সেই প্রোটিন থেকে ১০-৩৫ শতাংশ ক্যালরি পাওয়া যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন দুই-তিনবার প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তবে বয়সভেদে এবং স্বাস্থ্যভেদে প্রোটিনের প্রয়োজন ভিন্ন হতে পারে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যে পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত
* ২-৩ আউন্স চর্বি ছাড়া মাংস অথবা মাছ
* ১টি ডিম
* আধা কাপ সেদ্ধ শিম
* ২ টেবিল-চামচ পিনাট বাটার
* ১ আউন্স মাখন।
প্রোটিন কাদের খাওয়া উচিত নয়?
যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের সীমিত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। ডায়ালাইসিস চলাকালে প্রতিদিন ২-২.৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা যেতে পারে। যাঁদের হৃদ্রোগের সমস্যা আছে তাঁরা প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন, তবে সে ক্ষেত্রে চর্বি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে নিতে হবে।
Collected -
Karim Sarker(Sohel):
ছবিতে দেখুন
Navigation
[0] Message Index
Go to full version