Faculties and Departments > Business & Entrepreneurship

রপ্তানির ৭ গুণ পণ্য ব্রাজিল থেকে আমদানি

(1/1)

Bipasha Matin:
ব্রাজিলে যে পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করে, আমদানি করে তার ৭ গুণ। ব্রাজিল বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দিলে ব্যবধানটি এত বড় হতো না।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কাম্পোজ দা নরেগার সঙ্গে অনুষ্ঠিত সৌজন্য বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমন আক্ষেপের কথা জানান। বৈঠকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। কিন্তু দেশটিতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশি শুল্ক দিতে হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের এত শুল্ক দেওয়ার কথা নয়। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে ব্রাজিল থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বাংলাদেশ।
বিশ্বের অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ পণ্য প্রবেশে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও ব্রাজিল এখনো দিচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দেশটির সঙ্গে আমরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করারও প্রস্তাব দিয়েছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে ব্রাজিলে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে দেশটি থেকে আমদানি করা হয়েছে ৯৫ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পণ্য। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ চিনি, ভোজ্যতেল, তুলা, গম ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে। আর ব্রাজিলে রপ্তানি করা হয় প্রধানত তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ ও চামড়াজাত পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে দেশটিকে সমর্থন দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। যেমন ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক পদে নির্বাচনের সময় গত বছর বাংলাদেশ ব্রাজিলের প্রার্থী রবার্তো আজেবেদোকে সমর্থন দিয়েছিল। এবারও বাংলাদেশের সমর্থন চাচ্ছে ব্রাজিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চিলি গত বছর থেকে বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে, উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামী মাসে তাঁর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলি সফরে যাবে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়টি ব্রাজিল সরকারের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এ জন্য সময়েরও দরকার হবে।’

Navigation

[0] Message Index

Go to full version