ম্যাকডোনাল্ডস কেন ব্র্যান্ড? কিংবা কেএফসি? এর কারন হলো এই বার্গার বা চিকেন ফ্রাই, আমাদের কাছে পরিচিত হবার বহু আগে আমেরিকানদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। আমেরিকানরা সবাই মিলে অাগে আইফোন কেনে , সেটা নিয়ে হুজ্জত করে, তারপর সেটাকে সারা দুনিয়ার কাছে বেচে। সবাই গর্বের সাথে মুরগীভাজা খায়, তারপর দুনিয়াকে খাওয়ায়। যেমন কেলভিন ক্লাইন,লিভাইস এর জীনস অথবা হালের গো প্রো ক্যামেরা।
আমাদের দেশে মামার হালিম কিংবা মুসলিমের কাবাবও হালকা পাতলা ব্র্যান্ড। জামাই বউ চানাচুর, ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানী, নান্নার মোরগ পোলাও, সেটাও ব্র্যান্ড।
অতি সম্প্রতি আমাদের দেশের যে পন্যটি প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছে তার নাম প্রাণ। প্রাণ এর পন্য আমি ফিনল্যান্ড এর লেভিতে এবং হাংগেরীর বুদাপেস্টে গিয়ে পেয়েছি। এটা গর্বের বিষয়। কারন পণ্যের মান ভালো না হলে সেটা ইউরোপে বেচা ভীষন কঠিন।
সমস্যা হলো আমাদের দেশী পণ্যের যদি উচ্চমূল্য হয় সেটা আমরা কিনতে চাই না। একই টমেটো সস, বেস্ট কিংবা ক্রাফ্ট এর হলে হবে ডাবল দাম। আর আমাদের হলে হবে কম।
আমরা আমাদের অবজ্ঞা করি।
মনে রাখা দরকার, নিজেদের বেশী দামে না কিনলে, নিজেরা নিজেদের দাম না দিলে, অন্যরা কখনো সেটা দেয় না।
বনজোভির টিকেট আমেরিকাতে অল সোল্ড হয় , তাই এখানেও হবে। নেহা কাক্কার আর ঝক্কর ভক্কর এর জন্য আমাদের যে পাগলা অবস্থা সেটা নিজেদের বেলায় নাই।
এখন সকলে লাইন দিয়ে বার্গার কিং এ ঢুকছেন আর পোস্ট দিচ্ছেন। সেটা না করে যদি আমরা সবাই মামা হালিমকে নিয়ে পোস্ট দিতাম আর মামা সেলফি তুলতাম তাহলে আমরা দুনিয়াতে আমাদের পণ্য তুলে ধরতে পারতাম।
আমাদের এই মানসিকতার কারনেই আমরা কোথাও দাম পাই না।
আমাদের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কিছু দীণতা আছে।
অন্যের লেজ ধারন করে অভিজাত হবার প্রবণতা তার মধ্যে একটি।
সেভেন ইলেভেন যদি আসে আরো মজা হতো। বিদেশী মুদির দোকানে বসে নানা রকম সেলফি দেখা যেতো।
লিখেছেনঃ আব্দুন নূর তুষার।