« on: December 21, 2016, 11:57:40 AM »
মাঝেমধ্যেই দেখা যায়, পাশাপাশি বসে থাকা দুজন মানুষের একজন মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ কিন্তু অন্যজনকে যেন মশারা দেখছেই না। এমনটা কেন হয়, তার জবাব হয়তো খুঁজে পাওয়া গেল এবার।
যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, শরীরের বিশেষ ধরনের ডিএনএ মশার জন্য চুম্বকের মতো কাজ করে। পরীক্ষার সময় ওই বিজ্ঞানীরা ১৮ জোড়া ‘আইডেনটিক্যাল’ ও ১৯ জোড়া ‘ফ্র্যাটারনাল’ যমজ বোনকে একটি ইংরেজি অক্ষর ‘ওয়াই’ আকৃতির টিউবের দুই মাথায় বসিয়ে দেন। এরপর টিউবের তৃতীয় সোজা প্রান্তটি থেকে ২০টি ক্ষুধার্ত মশা ছেড়ে দেওয়া হয়। মশাগুলো ডান না বামদিকের পথে এগোয়, তা দেখাই ছিল এর উদ্দেশ্য। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ জোড়া ‘আইডেনটিক্যাল’ যমজের দিকেই মশাগুলো বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই মশাদের আকৃষ্ট করার পেছনে জিন বা বংশগতির ভূমিকা রয়েছে। যমজ হচ্ছে দুধরনের—‘আইডেনটিক্যাল’ ও ‘ফ্র্যাটারনাল’। আইডেনটিক্যাল যমজ হয় একটি মাত্র কোষ থেকে আর ফ্র্যাটারনাল হয় দুটি ডিম্বাণু থেকে।
গবেষকেরা বলছেন, বিশেষ ধরনের ডিএনএগুলো এমন কিছু মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াকে আকৃষ্ট করে, যাদের নিজস্ব গন্ধ থাকে। আর মশা তারই আকর্ষণে ছুটে যায়।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, প্রতিটি মানুষের শরীরই ১০০ ট্রিলিয়নের মতো অণুজীব দিয়ে ঢাকা থাকে। এই অণুজীবের জগৎ রক্তে ভিটামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক তৈরি করে। এসব রাসায়নিক থেকেই গন্ধের উৎপত্তি। অণুজীবগুলোর বেশির ভাগই মানুষে মানুষে ভিন্ন। একেক অণুজীবের তৈরি রাসায়নিকের গন্ধ একেক রকম। আর বিভিন্ন জাতের মশা শরীরের বিভিন্ন অংশের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে আকৃষ্ট হয়। এ কারণেই দেখা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস মশা বেশি কামড়ায় মানুষের হাত ও পায়ে।
মশা তাদেরকেই বেশি কামড়ায় -------- ১) যাদের রক্তের গ্রুপ "ও", ২) যারা বেশি শ্বাস ফেলে (এতে করে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়), ৩) যাদের ঘামে মশা আকর্ষক ব্যাকটেরিয়া থাকে, ৪) যাদের শরীর গরম থাকে, ৫) গর্ভবতী ৬) উত্তরাধিকার সূত্রে মশাকর্ষক । (মুলত উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত কিছু রাসায়নিক) মানুষের (অন্য প্রাণিও) শরীর থেকে নিসৃত তিনটি রাসায়নিক উপাদান মশাকে আকৃষ্ট করে। সেগুলো হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইড, অক্টিনল (১-অকটিন--,৩-অল, এক প্রকারের এলকোহল) এবং নন্যাল (এক প্রকারের এলডিহাইড) । যে সব প্রাণীর শরীর থেকে এই তিনটি রাসায়নিক বেশি পরিমাণে নি:সৃত হয় মশা তাদেরকে বেশি কামড়ায়। কার্বন--ডাই-অক্সাইড মিশ্রিত অক্টিনল পোকা আকর্ষক হওয়ায় পোকামাকড় ধরার কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়।http://www.prothom-alo.com/technology/article/1021443/%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E2%80%98%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A7%87%E2%80%99-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F

Logged
........................................
Al Mozammel
Administrative officer
Office of the Dean
Faculty of Allied Health Sciences
Daffodil International University