DIU Activities > Permanent Campus of DIU
Nostalgia: A wishful affection for the past.
(1/1)
Reza.:
মাঝে মঝেই আমাকে নস্টালজিয়া আক্রমন করে।
ছোটবেলা কেটেছে মোহাম্মাদপুরে। বহু আগেই মোহাম্মাদপুরের চ্যাপ্টার ক্লোস করে আমরা উত্তরা চলে এসেছি। সম্প্রতি আমার অফিস ছিলো ধানমন্ডিতে। বাসায় ফিরতাম মিরপুর কালশী হয়ে। পথে পার হতে হত মোহাম্মাদপুর। আসাদগেটের আড়ং থেকে রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল হল আমার নস্টালজিয়া জোন। ছোটবেলার অজশ্র স্মৃতি পড়ে আছে এখানে। টাইটানিক ছবিতে যেমন জাহাজের ফ্লাস ব্যাক দেখা যায় - এই এলাকা পার হওয়ার সময়ও আমার চোখে ঠিক সেই রকম ছবি ফুটে উঠে। এই এলাকা ছিলো আমাদের নিত্য দিনের যাতায়াতের পথ।
রাস্তার যে মাথা থেকে আমি স্কুল বাসে উঠতাম। বা যেখান দিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা রাস্তা পার হয়ে সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরতে যেতাম। কিংবা মডেল স্কুলের গেট যেটা দিয়ে আমরা মাঠে খেলতে ঢুকতাম। মনে আছে গেট বন্ধ থাকলে ওয়াল টপকিয়েও আমরা পার হতাম।
এছাড়াও অনেক দিনই ইউনিভার্সিটির পরে চলে গিয়েছি মোহাম্মাদপুরে। হেটে বেরিয়েছি ওখানকার রাস্তায়। কি যে আশ্চর্য লাগে - যে জায়গা ছিলো এতো পরিচিত - সেখানে এখন কাওকেই চিনতে পারি না। আমাকেও কেউ চেনে না। বহু বাসার বাসিন্দাদের ডিটেইলস অনেক কিছুই এখনও বলতে পারব। কিন্তু তারাই হয়ত এখন সেখানে নাই।
যাই হোক - আমার নস্টালজিয়ার ছবিগুলো সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে - যদি কল্পনা করতে পারেন - ওই রাস্তার পাশে তিন তলার থেকে উচু কোন বাড়ি নাই। মাঝে মাঝে কিছু খালি প্লট পড়ে আছে। সুসজ্জিত ও আলোকিত শো রুমের জায়গায় চা খাওয়ার টং দোকান। তবে তা একটা কি দুইটা - এর বেশী নয়। এই ক্ষেত্রে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অনেক কমিয়ে কল্পনা করতে হবে। এতো কম যে ওই রাস্তা দিয়ে ৮ - ১০ বছরের শিশুরাও পার হতে পারে। আরেকটি জিনিষ হল - ভাবতে হবে চারিদিকে অনেক দিনের আলো। আর যদি রাত হয় তাহলে আলো আধারির সাথে ঝিঝি পোকার ডাকও যোগ করতে হবে। (My Facebook Status: December 22; 2016)
Navigation
[0] Message Index
Go to full version