ওজন কমানোর কসরত কতটুকু সফল!

Author Topic: ওজন কমানোর কসরত কতটুকু সফল!  (Read 1278 times)

Offline mominur

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 442
    • View Profile
ওজন কমানো মানে শুধু শুকিয়ে যাওয়া নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুস্থ থাকাও অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই ওজন কমানোর চিন্তায় কিছু খাবার বাদ দিয়ে দেন। ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ওজন কমানোর জন্য যতটুকু কসরত করছেন তা কতটা সফল সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

ঠিক কতটুকু ওজন কমানো উচিত: উচ্চতা অনুযায়ী কতটুকু ওজন আদর্শ সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে অসুস্থ হওয়ার কোনো মানে হয় না।

দৈনন্দিন ক্যালরির চাহিদা কতটুকু: শরীরে জমে থাকা বাড়তি ওজন ঝেরে ফেলার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হয়। আর এক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম মাফিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করাও জরুরি। তবে শরীরের শক্তি সঞ্চারের জন্য ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও দরকার।

শরীরের চাহিদানুযায়ী খাওয়া: ওজন কমাতে চাইলে বেশ কিছু প্রিয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে না খেয়ে থাকলে চলবে না। ওজন কমাতে শরীরের যতটুকু জরুরি ঠিক ততটুকু খাবার খাওয়া উচিত। কারণ না খেয়ে থাকলে বা কম খেলে ক্ষুদার অনুভূতি রয়ে যায়। ফলে বেশি খাবার খাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটুকু দরকার ততটুকু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, যেন ক্ষুদার অনুভূতি জমে না থাকে।

সুষম খাবার খাওয়া: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও সব ধরনের পুষ্টি উপাদানের চাহিদা শরীরে থাকেই। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্নেহজাতীয় খাবার সবই খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি।

পানীয় পান: ওজন কমানোর যাত্রায় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হয়। তবে অতিরিক্ত হলে চলবে না। সেক্ষেত্রে পানির পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়ক পানীয় পান করাও বেশি উপকারী। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কখনও পানীয় তৈরিতে চিনি ব্যবহার করা চলবে না।

ওজন কমাতে কি রেস্তোরাঁ বাদ দিয়েছেন: ওজন কমানোর যাত্রা বেশ কঠিন। তাই বলে সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখলে ওই সফর খুব একটা দীর্ঘ নাও হতে পারে। এ কারণে মাঝে মধ্যে যদি মনের শখ পূরণ করতে রেস্টুরেন্টে খেতে যান তাহলে দোষের কিছু নেই। তবে পরে ব্যায়াম করে ওই বাড়তি ক্যালরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।

কেমন অনুভব করছেন: ওজন কমানোর এই সময়গুলো আপনার মানসিক অবস্থা কেমন তা অনেক ক্ষেত্রেই ডায়েট কন্ট্রোলের স্বার্থকতা বিচার করতে সহায়ক। যদি সব সময় আলস্য কাজ করে বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ডায়েট কন্ট্রোলের প্রক্রিয়ায় কোথাও ভুল আছে। সব সময় ক্ষুদা অনুভব করাও ভালো লক্ষণ নয়। এমন দিকগুলো নজরে পরলে এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে।

ব্যায়াম কী করছেন!: শুধু কম খেলেই চলবে না, ওজন কমাতে ব্যায়াম করাও জরুরি। নিয়মিত হাঁটা বা সাইকেল চালানো বেশ উপকারী। সম্ভব হলে ঘরে হালকা ব্যায়ামও করা যেতে পারে সময় হিসেবে। তবে যে কোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Md. Mominur Rahman

Assistant Professor
Department of Textile Engineering
Faculty of Engineering
Daffodil International University