মানুষ যেতে পারেন না পৃথিবীর এই সমস্ত জায়গায়

Author Topic: মানুষ যেতে পারেন না পৃথিবীর এই সমস্ত জায়গায়  (Read 674 times)

Offline Shahrear.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 430
  • Plan living, High Thinking, Love After Marriage !!
    • View Profile
    • Shahrear Khan Rasel
 বরফ ঢাকা পাহাড়ের শৃঙ্গ থেকে সবুজ-নীল গভীর সমুদ্রে তিমি-হাঙরের রাজ্যে বারবার পাড়ি জমিয়েছে মানুষ। কখনও পিঠে বেলুন লাগিয়ে ঝাঁপ দিয়েছে আকাশ থেকে, কখনও পিঠে অক্সিজেন ঝুলিয়ে পা রেখেছে কঠিন পর্বতশৃঙ্গে। পৃথিবীর বেশির ভাগ জায়গাতেই নিজের পায়ের ছাপ ফেলেছে মানুষ। তবু বাকি রয়ে গিয়েছে অনেকটাই। আবার বিশ্বে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে নিজেদের প্রবেশ নিজেরাই নিষিদ্ধ করেছে মানুষ। কিন্তু কেন? আসলে এই সমস্ত জায়গার বেশিরভাগই প্রাকৃতিক ও বন্য সম্পদে পরিপূর্ণ। কোনও জায়গায় আবার সংরক্ষিত রয়েছে গোপন নথি। তাই নিজের তাগিদেই মানুষ এই সমস্ত জায়গায় নিজেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। গ্যালারি থেকে দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু জায়গার নাম।

হার্ড আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরি:
২০০০ সাল থেকে এখানকার আগ্নেয়গিরি জীবন্ত রয়েছে। সেই কারণেই এই আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন ৩৬৮ বর্গ মাইলের মধ্যে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই অঞ্চলে রয়েছে ৪১টি হিমবাহ। পেঙ্গুইন, সিল ও নানা প্রজাতির পাখির বাসস্থান এই অঞ্চল।


অ্যালবাট্রস দ্বীপ, তাসমানিয়া:
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দ্বীপ। রয়েছে বহু বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীও। এদের রক্ষা করতেই মানুষের বিচরণ একেবারেই মানা এই দ্বীপে।



লাসক্স গুহা, ফ্রান্স:
ইতিহাসবিদদের মতে, এই গুহার বয়স ১৭ হাজার বছর। প্রাচীন এই গুহায় পাওয়া গিয়েছে প্রচুর গুহাচিত্র। নিজেদের হাত থেকে এই মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করতেই এখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মানুষের প্রবেশ।



স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল:
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অতলান্তিক সাগরের তীরে রয়েছে এই দ্বীপ। এই দ্বীপে রয়েছে প্রচুর গোল্ডেন ভাইপার।তাই সাধারণ মানুষের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ এই দ্বীপে।



সার্টসে, আইসল্যান্ড:
মাঝে মধ্যেই ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত হয় দক্ষিণ আইসল্যান্ডের এই দ্বীপে। তাই মানুষের প্রবেশ নিষেধ এখানেও।



উত্তর সেন্টিনেল, আন্দামান:
আন্দামানের এই দ্বীপে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এখনও এই দ্বীপে ৪০০-র কাছাকাছি প্রাচীন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। আধুনিক মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই। বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ
স্থাপনের চেষ্টা করা হলেও বারবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের প্রবেশ এই দ্বীপে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



ভ্যাটিকানের গুপ্ত গ্রন্থাগার:
সাধারণ মানুষেক প্রবেশের অনুমতি নেই এই গ্রন্থাগারে। ১৮৮১ সাল থেকে সাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে এই গ্রন্থাগারের দরজা। ৫২ মাইল লম্বা শেল্ফ রয়েছে এই গ্রন্থাগারে। বলা হয়, এখানে সংরক্ষিত নথিতে খ্রীস্টান ধর্মের বহু অন্ধকার ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে।
নতুন বার্তা/এমআর
Shahrear Khan Rasel
Sr. Lecturer
Dept. of GED
Daffodil International University