আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বিশাল আয়োজনে এবার বিস্ময় নিয়ে এসেছে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স। বাণিজ্য মেলার মেইন গেট পেড়িয়ে বাম দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ছোটখাট একটা ল্যাব। যেখানে উৎসুক চোখে শিশুরা মজার সব এক্সপেরিমেন্ট দেখছে।
অন্যরকম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স কোং লিমিটেডের একটি পণ্য অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স। বাণিজ্য মেলায় এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে পিএস-৬৪ নম্বর স্টলে। বিজ্ঞানবাক্স হলো বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র সায়েন্স কিট। এতে বিভিন্ন রকম উপকরণ থাকে, যা দিয়ে নানারকম সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। বিজ্ঞানবাক্স মূলত সাত বছর এবং তার বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য তৈরি। নানান রংয়ে আর বিজ্ঞানের ঢঙে একেবারে জাঁকজমকভাবে সাজানো হয়েছে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের এবারের স্টল।
এ বছর বিজ্ঞানবাক্স যেমন মন ভরাবে, তেমনি ব্যাগ ভরাবে পুরস্কার! যারা বিজ্ঞানবাক্স কিনছে তাদের জন্য থাকছে কুপন। সেই কুপন থেকে লটারি করে তিনজনকে দেয়া হবে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্টফোন। এছাড়া বিজ্ঞানবাক্স সম্পর্কে রিভিউ লিখে একজন বিজয়ী জিতে নিতে পারবে একটি ফ্রিজ এবং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার। আর প্রতিটি বিজ্ঞানবাক্সের সাথে ফ্রি গিফট ব্যাজ ও স্টিকারতো থাকছেই।
এছাড়া ছোটদের জন্য কুইজের আয়োজন করা হয়েছে। লিফলেটে দেওয়া কুইজের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীকে। তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকছে ব্লু টুথ স্পিকার, পেন ড্রাইভ, পাওয়ার ব্যাংক, সেলফি স্টিক অথবা টেবিল ল্যাম্প। কুইজের সঠিক উত্তরটি পাঠাতে হবে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের ফেসবুক পেজের (
https://www.facebook.com/OnnoRokomBigganBaksho) ইনবক্সে।
জীবনবৃত্তান্তমাহমুদুল হাসান সোহাগ। রকমারি ডট কম, টেকশপ বাংলাদেশ লিমিটেড, পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেড, অন্যরকম সফটওয়ার লিমিটেড, অন্যরকম সল্যুশনস লিমিটেড, অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস লিমিটেড, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেডসহ এমন বেশ কিছু ব্যতিক্রমী ধারার প্রতিষ্ঠানের মাদার কোম্পানি অন্যরকম গ্রুপ এবং উদ্ভাস ও উন্মেষের সম্মানিত চেয়ারম্যান তিনি।
বাংলাদেশে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) তৈরি তৈরি করে জনাব সোহাগ আলোচনায় এসেছেন বেশ আগেই। ২০১৪ সালের সিটিকর্পোরেশন নির্বাচনগুলোসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু নির্বাচনে তার কোম্পানি পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে নির্মিত ইভিএম ব্যভহৃত হয়েছে। এছাড়া তিনি ইজি ভোটিং কাউন্ট সিস্টেম (EVCS) ও ইজি ওমআর সল্যুশন (Easy OMR solution) সফটওয়্যারেরও জনক।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায় ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবুল হোসেন স্কুল শিক্ষক, মাতা মনোয়ারা বেগম ডাক বিভাগের কর্মকর্তা। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোটো। ছাত্রজীবনে তিনি সরিষাবাড়িতেই এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং এসএসসিতে ঢাকা বোর্ড ১৯৯৮ সালে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করেন। ২০০০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর তিনি বুয়েটে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্র থাকাকালেই তিনি বুয়েট আইআইসিটিতে রিসার্চ এসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন এবং পড়াশোনা শেষে রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সেখানেই যোগদান করেন।