গবেষকদের মতে, আলঝেইমার্স আছে এমন রোগীদের মধ্যে যারা ইনসমনিয়া, অ্যাংজাইটি ও ডিমেনশিয়া নিরাময়ের জন্য বিষণ্ণতারোধী ঔষধ সেবন করেন তাদের শ্রোণী অঞ্চলের হাড়ে ফাটল সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, আলঝেইমার্স নেই এমন মানুষদের ক্ষেত্রেও যারা নিয়মিত বিষণ্ণতারোধী ঔষধ সেবন করেন তাদের মধ্যেও কোমরের হাড়ে ফাটল সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। যদিও কোমরের হাড়ে ফাটল সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি আলঝেইমার্স রোগীদের মধ্যেই বেশি। গবেষকেরা বলেন, বিষণ্ণতারোধী ঔষধ সেবনের শুরুর দিকে এই ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে এবং চার বছর পরেও এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সান্না টরভিনেন-কিস্কিনেন বলেন, যে দলটির সদস্যরা ঘন ঘন বিষণ্ণতা রোধী ঔষধ সেবন করেন তাদের মধ্যেই হাড়ে ফাটল হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়।
বিষণ্ণতা নিরাময় করা ছাড়াও ব্যথা নিরাময়ের জন্য এবং ডিমেনশিয়ার আচরণগত ও মানসিক লক্ষণ যেমন- অনিদ্রা, উদ্বিগ্নতা এবং উত্তেজনা নিরাময়ের জন্য ও ব্যবহার করা হয় বিষণ্ণতারোধী ঔষধ।
গবেষকেরা পরামর্শ দেন যে, মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য যদি ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন হয় তাহলে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ করা উচিৎ। অবসাদ দূর করার ঔষধ সেবনের পাশাপাশি পড়ে যাওয়ার অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়েও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
এই গবেষণার জন্য ফিনল্যান্ডের ৮০ বছর বয়সের মানুষদের মধ্যে আলঝেইমার্স আছে এমন ৫০,৪৯১ জন মানুষ এবং আলঝেইমার্স রোগ নেই এমন ১,০০,৯৮২ জন মানুষকে নিয়ে গবেষণা করা হয়।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয় জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রি নামক সাময়িকীতে।