আর্মার্ড ট্যাঙ্কঃ
মিলানের ডিউক, লুতোভিকো ফরযা এর অধীনে কাজ করবার সময় লিওনার্দোকে জিজ্ঞাসা করা হয় তার সেনাবাহিনীর জন্য সবচাইতে ভালো একটি অস্ত্র তৈরি করবার জন্য যেটি খুব সহজে ধ্বংস করা যাবে না। লিওনার্দো তার জন্য একটি আর্মার্ড ট্যাঙ্ক তৈরি করেন। আজকের দিনের আধুনিক ট্যাঙ্কের মত এটি এত নিখুঁত ছিল না তবে দুইপাশ থেকে এটি শেল নিক্ষেপ করতে পারত। লিওনার্দোর এই সমরাস্ত্র বেশিদিন কার্যকর ছিল না। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন এটি লিওনার্দো ইচ্ছে করেই চান নি।
স্বংয়ক্রিয় গাড়িঃ
বিস্ময়কর হলেও সত্য লিওনার্দোর সেলফ প্রোপেল্ড কার্ট বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি আজকের যুগের রোবটদের মত ছিল. কারণ এর কোন চালক ছিল না। আধুনিক প্রকৌশলীরা এই গাড়ির মেকানিজম বা কেমন করে এই গাড়ি লিওনার্দোর পক্ষে তৈরি করা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনো বেশ সন্দিহান।
সিটি অব দ্য ফিউচারঃ
লিওনার্দো এমন একটি শহর বানাতে চেয়েছিলেন যেটি কয়েক যুগ এগিয়ে থাকবে। তিনি যখন মিলানে বসবাস করতেন তখন প্লেগ রোগের কারণে সারা শহর ছেয়ে গিয়েছিল। শহরবাসীকে রোগের উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি পরিকল্পিত সুরক্ষা ব্যবস্থা সংবলিত নগরীর। লিওনার্দো কাজও শুরু করেছিলেন কিন্তু তৎকালীন সময়ে এত উন্নত ব্যবস্থা সম্ভব ছিল না।
এরিয়াল স্ক্রুঃ
আপনি কি ভাবছেন? ড্রোন আধুনিক কোন ধারণার থেকে এসেছে? তবে জেনে রাখুন, লিওনার্দো ড্রোনেরও মডেল তৈরি করে গিয়েছেন তবে এর নাম হচ্ছে এরিয়াল স্ক্রু। এটিও হেলিকপ্টারের মতই একটি উড্ডয়ন যন্ত্র। এর ব্লেডগুলো ছিল লিনেনের তৈরি।
রবোটিক নাইটঃ
ইতিহাসবিদের মতে, ভিঞ্চির তৈরি রবোটিক নাইট ছিল অনেক বেশি উন্নতমানের একটি আবিষ্কারের মডেল। ভিঞ্চির নোটবুক খুলে এই রবোটিক নাইট সম্পর্কে যা জানতে পারা যায়, তা দেখে আজকের যুগের বিজ্ঞানীদের অনেকেরই হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। কিভাবে সম্ভব ছিল এতোটা সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করা? ভিঞ্চির এই রবোটিক নাইটের কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন রোবট, অন্তরীক্ষে যাবার স্পেসস্যুট ইত্যাদি নানা কিছু।