Faculties and Departments > Tourism & Hospitality Management (THM)

যাঁদের নকশায় স্মৃতিসৌধ

(1/2) > >>

tnasrin:

স্মৃতিসৌধ
যাঁদের নকশায় স্মৃতিসৌধ


জাতীয় স্মৃতিসৌধজাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
সাভার, বাংলাদেশ
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে ঢাকার সাভারে ৮৪ একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধ একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন, একই সঙ্গে স্বাধীনতাযুদ্
বাংলাদেশের মানুষের বীরত্বগাথা তুলে ধরে। ১৫০ ফুট উচ্চতার এই অনন্য স্থাপত্যকর্মটিতে সাতটি খাঁজ রয়েছে। সেগুলো নিচ থেকে ক্রমে ওপরের দিকে উঠে গেছে। এই সাতটি খাঁজ ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা নির্দেশ করে।
১৯৭২ সালের বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৭৮ সালে স্মৃতিসৌধের জন্য নকশা আহ্বান করা হয়। তরুণ স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নকশায় ১৯৭৯ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিন বছর পরে ১৯৮২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়।
সৈয়দ মাইনুল হোসেনের জন্ম ১৯৫১ সালে ঢাকায়। জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ১৯৮৫ সালে উত্তরা মডেল টাউনসহ ৩৮টি বড় নকশা করেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল
হিরোশিমা, জাপান
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় প্রথমবারের মতো অ্যাটম বোমা ফেলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ৭০ হাজার মানুষ মারা যান, আরও ৭০ হাজার মানুষ তেজস্ক্রিয়তায় গুরুতর আক্রান্ত হন।

তাঁদের স্মরণে এলাকাটি হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই উদ্যানের পরিকল্পনা ও নকশা করেন জাপানি স্থপতি কেনজো তাংগে।
স্থপতি কেনজো তাংগেস্থপতি কেনজো তাংগে
মূলত ধ্বংসাবশেষ থেকেই পার্কের নকশা করেন তিনি। এর মধ্যে ‘আ-বম্ব ডোম’ নামে পরিচিত হিরোশিমা পিচ মেমোরিয়াল ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো।
চেক স্থপতি জ্যান লেটজেলের নকশায় ১৯১৫ সালে তৈরি হয় এক গম্বুজের ভবন হিরোশিমা পারফেকচুরাল কমার্শিয়াল এক্সিবিশন। পারমাণবিক বোমার আঘাতে এই ভবনের ধ্বংসাবশেষ পরিচিতি পায় হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল নামে।
ইন্ডিয়া গেট
নয়াদিল্লি, ভারত
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই স্মরণ করা হয় না। এর প্রধান কারণ সে সময় ভারতে ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। ১৯১৪ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে দশ লাখের বেশি ভারতীয় সৈনিক, অন্যভাবে বললে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির সদস্য আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে মোতায়েন করা হয়।
ইন্ডিয়া গেটইন্ডিয়া গেট
এই সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধে ৮২ হাজার ভারতীয় সৈনিক প্রাণ দেন। তাঁদের স্মরণে নয়াদিল্লিতে ১৯২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারিতে অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এক দশক পর ১৯৩১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয় এই সৌধ। পরবর্তী সময়ে এটিই ইন্ডিয়া গেট নামে পরিচিতি পায়। ইন্ডিয়া গেটের নকশা করেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি স্যার এডউইন লুটিনস। তিনি দিল্লি শহরের পরিকল্পনাবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নকশার জন্যও বিখ্যাত। শুধু ইউরোপেই ৬৬টি স্মৃতিসৌধের নকশা করেন তিনি। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান এডউইন লুটিনস।
 সূত্র: উইকিপিডিয়া

Bipasha Matin:
I didn't know that. Praiseworthy

shafayet:
Thanks for the post :)

A.S. Rafi:
respect to the source of inspiration  :)

Nusrat Nargis:
thanks for sharing.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version