Faculties and Departments > Business Administration
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর উদ্যোগ
(1/1)
Md. Alamgir Hossan:
হোমঅর্থনীতি
প্রিন্ট সংস্করণ |
প্রকাশ : ০৭ মার্চ, ২০১৭ ০৫:৫৯:৫১
প্রিন্টঅঅ-অ+
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর উদ্যোগ
[মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর উদ্যোগ]
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ বেশি নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এ সেক্টরের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। তাই বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগও বেশি। হুন্ডি ও জোরপূর্বক অর্থ আদায় ছাড়াও বিকাশের মাধ্যমে প্রতিদিন নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো উঠে আসে।
বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা সাংবাদিকদের বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার এজেন্টের ওপর পরিদর্শন পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক ভুয়া এজেন্ট পাওয়া গেছে। একজন এজেন্টের কাছে ১০০ সিম পাওয়ার রেকর্ডও রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উচ্চ সার্ভিস চার্জ নেয়া হচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য সেবা চার্জ কমাতে চায় নিয়ন্ত্রক এ প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভঙ্কর সাহা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উচ্চ চার্জের কথা স্বীকার করে শুভঙ্কর সাহা আরও বলেন, এই সেবার চার্জ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এটা আরও কমানো যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন দেশের ১৭টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিকাশ ছাড়া বাকি ১৬টি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এর সেবা নিয়ে বেশকিছু অনিয়মের খবর বেরিয়েছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি সীমিত ব্যাংকিং সেবা। তবে এখন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে অনিয়ম বেড়েছে। অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণ ছাড়াও জোর করে টাকা আদায় করছে। এসব অনিয়মের কারণে আমরা এই সেবা আরও সীমিত করেছি।
বিকাশ কি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিকাশ যেহেতু মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে; তাই এর বিরুদ্ধে অপরাধের খবর বেশি। তবে সবকিছু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সেবার সীমা কমানো হয়েছে। এতে একজন গ্রাহক তার মোবাইল হিসাবে সর্বোচ্চ ২ বারে ১৫ হাজার টাকা নগদ জমা এবং ১০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। এভাবে মাসে ২০ বারে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ জমা এবং ১০ বারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যাবে।
তবে একটি মোবাইল হিসাবধারী কর্তৃক নগদ অর্থ জমা হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। এ নির্দেশনা শুধু মোবাইল হিসাবে ক্যাশ ইন হলেই প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বেতন, পোশাক শ্রমিকদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ, মহাব্যবস্থাপক জিএম আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক মাস আগে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে নির্দেশনা প্রদান করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ অর্থ জমা বা উত্তোলনে গ্রাহককে পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করতে হবে, যা এজেন্ট তার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। রেজিস্টারে গ্রাহকের সই বা টিপসই সংরক্ষণের নির্দেশনাও দেয়া হয়। প্রতিদিনের টাকা উত্তোলনের সীমা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে জমা দেয়া যাবে দিনে ১৫ হাজার টাকা। মাসে ১০ বারের বেশি টাকা তোলা যাবে না। এক মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা যাবে। তবে জমা দেয়া যাবে ২০ বারে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।
MD. ABDUR ROUF:
Thank you Sir
shafayet:
Thanks for the post :)
Navigation
[0] Message Index
Go to full version