Entertainment & Discussions > Life Style
ভাইরাস জ্বর: কী করবেন
(1/1)
Saujanna Jafreen:
আবহাওয়া এখন না খুব ঠান্ডা, না খুব গরম। এটা নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে তাপমাত্রার ওঠা-নামার এই সময়ে ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে অনেকে হালকা জ্বর, কাশি, নাকবন্ধ, গলা বসা, স্বর ভাঙা সমস্যায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। এই ফ্লু মৌসুম মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চলে। এটি ভাইরাসজনিত রোগ। তাই দ্রুত একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। এতে তেমন কোনো জটিলতা না হলেও বেশ ভোগান্তি হয়। আসুন, এ রকম সমস্যায় করণীয় জেনে নিই:
জ্বর থাকবে সাত দিন
ভাইরাসজনিত জ্বর ওষুধ খেলে সাত দিনে সারে, না খেলে সারে এক সপ্তাহে—এমন একটা প্রবচন আছে। কথাটা ঠিক। ফ্লুর জ্বর তিন থেকে পাঁচ দিন, বড়জোর সাত দিন থাকবে। তাই ধৈর্য ধরুন। এই সময়ে জ্বরের পাশাপাশি যদি নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে পানি পড়ে, গলা খুসখুস করে এবং কাশি হয়—ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই অকারণে অস্থিরতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধপথ্যের দরকার নেই। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
অ্যান্টিবায়োটিক দরকার নেই
ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না। এই জ্বরের মূল চিকিৎসা উপসর্গ কমানো। যেমন: জ্বর হলে প্যারাসিটামল, নাক বন্ধের জন্য নাসাল স্প্রে, গলা খুসখুসের জন্য গরম লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করা কাজে লাগে। সঙ্গে চাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
অ্যান্টি-হিস্টামিন না খাওয়াই ভালো
ভাইরাসজনিত জ্বর-কাশিতে অ্যান্টি-হিস্টামিনজাতীয় ওষুধও না খাওয়াই ভালো। এটি কাজ দেয় অ্যালার্জিজনিত কাশি-সর্দিতে। বরং গরম স্যুপ, হালকা গরম পানি, লেবু-চা খেলে স্বস্তি পাবেন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
খুব বেশি জ্বর হলে, প্যারাসিটামলেও জ্বর না কমলে, কানব্যথা বা কান দিয়ে পুঁজ বেরোলে, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, অসংলগ্নতা, ত্বকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখা দিলে সেটা ফ্লু নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি বা গলায় অস্বস্তি কিছুই না থাকলেও, তা-ও ফ্লু না হয়ে থাকতে পারে।
sisyphus:
ওষুধ খাওয়াই ভালো 8)
Navigation
[0] Message Index
Go to full version