শরীরে মেদ জমা করতে যে জিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। কানাডার গবেষকেরা সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন। টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ফলের মাছি নিয়ে গবেষণা চালান।
গবেষক মার্লা সকোলস্কি দাবি করেন, তাঁদের গবেষণায় নড়াচড়া, খাওয়াদাওয়া ও মেদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—এমন জিন পাওয়া গেছে।
‘জেনেটিকস’ সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা ‘রোভারস’ নামের ফলের মাছিতে প্রচুর পরিমাণে মেদ সংরক্ষক ওই জিনের উপস্থিতি দেখতে পান। ওই জিন নড়াচড়া করা, কম খাওয়া ও হালকা-পাতলা থাকার জন্য ভূমিকা রাখে। ‘সিটার্স’ নামের মাছিতে ঠিক উল্টো ফল পান তাঁরা।
গবেষকেরা বলেন, মাছির ক্ষেত্রে যে গবেষণা প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছে, তা মানুষের স্থূলতার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায়।
গবেষক মার্লা সকোলস্কি বলেন, সংরক্ষক জিনটি মাছির ও মানুষের ক্ষেত্রে একই রকম। অর্থাৎ, ডিএনএ সিকোয়েন্সে মিল রয়েছে।
সকোলস্কি আরও বলেন, মাছির মতো চিনির প্রতি দুর্বলতা, প্রচুর চর্বি জমানো ও কম নড়াচড়ার ঝোঁক থাকে তবে শরীরে মেদ জমবে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।