হঠাৎ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢুকলে ভড়কে যেতে হবে এখন। কোথায় সেই সবুজ মাঠ! কোথায় হারাল ঘাসের কোমলতা! চারদিকে ধু ধু বালুচর। ক্রিকেট তো দূরের কথা, এখানে কখনো কোনো খেলা হতো, সেটাই কারও বিশ্বাস হবে না।
গত জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। আউটফিল্ড এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাঠের উপরিভাগ থেকে ছয় ইঞ্চির মতো মাটি তুলে ফেলা হয়েছে। মাঠের নিচ দিয়ে যেসব পাইপ বৃষ্টির পানি বাইরে সরিয়ে দেয় সেগুলো পরিষ্কার ও প্রয়োজনে মেরামত করে নতুন করে ফেলা হবে বালু মাটি (সিলেট স্যান্ড)। তার ওপর লাগানো হবে বারমুডা ঘাস। গঠন কাঠামো অনুযায়ী শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের তলার অংশে ৭৫ মিমি ঘনত্বে ছড়ানো আছে পাথর কণা। এর ওপর আরও ৭৫ মিমি ঘনত্ব নিয়ে আছে বালি ও মাটির (সিলেট ও অরগানিক স্যান্ড) স্তর।
এবার আউটফিল্ডের কাজে হাত দেওয়ার আগে নতুন করে কালো মাটি ফেলা হয়েছে উইকেটেও। পুরোনো মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে দুই ইঞ্চির মতো। বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ল্যাবোস্পোর্ট নামে একটি পরামর্শ দাতা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে নিয়ে চলছে মাঠ উন্নয়নের কাজ। বিসিবির হয়ে কাজটি করছে অনীক ট্রেডার্স নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের। ২০১১ সালেও ছয় মাসের মতো খেলা বন্ধ রেখে চলে এর সংস্কার কাজ। আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে শুরু থেকেই সুনাম কুড়ায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। তবে সংস্কার কাজের ভুল-ত্রুটির কারণে মাঝে এর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে যায়।
শুরু থেকে ধরলে এবারের মাঠ উন্নয়নের কাজ শেষ হতেও ছয় মাসের মতো লাগবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল বাতেন। তার মানে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগস্টের আগে আর ক্রিকেট গড়াচ্ছে না। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়ায় প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ভেন্যু তালিকায় সে কারণেই নেই এই মাঠ। লিগের খেলা হবে বিকেএসপির দুটি মাঠ ও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে।
