Faculties and Departments > Life Science

মন প্রফুল্ল রাখার ৮ উপায়

(1/3) > >>

shafayet:
মন প্রফুল্ল রাখার ৮ উপায়

সবাই তো সুখী হতে চায়—মান্না দের সেই চিরন্তন গানের কথা যদি আসলেই বাস্তব হতো! ইশ্‌! সুখ—কোথায়? মনোবিজ্ঞান বলে, উৎফুল্ল জীবনই আপনি কতটা সুখী অনেকটা তাই প্রকাশ করে। সুখী হতে চাইলে উৎফুল্ল মনন আর শরীর তৈরি করুন, তখনই মান্না দের গানের সেই সুখী মানুষটি হতে পারবেন আপনি। কীভাবে প্রফুল্ল মনন তৈরি আর সুখী হওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ হেলালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আবেগের ওপর আমরা আসলে কতটা সুখী, তা নির্ভর করে। আপনি যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে দারুণ এক উৎফুল্ল জীবন তৈরি করতে পারবেন। সুখী হওয়ার জন্য ইতিবাচক জীবনধারা বিকাশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। একদিন হুট করেই সকালবেলা আপনি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সুখী দাবি করতে পারবেন না। আপনার নিয়মিত অভ্যাস আর জীবনধারার ওপর নির্ভর করে আপনার উৎফুল্ল মননের শক্তি, এই শক্তিই আসলে আপনার সুখ!’ হার্ভার্ড সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ট্যাল বেন-শাহারের নিবন্ধ অনুসারে জানা যায়, নেতিবাচক কিছু আচরণ ও আবেগ পরিহারে উৎফুল্ল মন তৈরি করা যায়। সুখী হওয়ার জন্য নেতিবাচক আচরণ পরিহারের অভ্যাস আপনার সুখের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেবে।

উৎফুল্ল ও সুখী হতে যে আবেগ ও অভ্যাস পরিহার করবেন

১. নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন। নিজেকে নিয়ে হুমকি কিংবা অনিরাপদবোধ করবেন না। কর্মস্থলে নিজেকে নিয়ে অনিরাপদ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু চিন্তা করলে তা আপনার শরীর আর মনের ওপর ভর করে বসবে। এতে আপনি আরও বেশি হতাশ ও নিরুৎসাহী হয়ে যাবেন। ফলাফল হিসেবে ইনসমনিয়া হতে পারে আপনার।

২. ক্রমাগত আত্মগ্লানিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাসে আপনি অমনোযোগী হয়ে উঠবেন। এতে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা কমে যাবে।

৩. অতৃপ্তিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাস একবার আপনার ওপর ভর করলে তা ছাড়ানো অনেক কষ্টের। কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য অতৃপ্তি আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়। কিন্তু কারণ ছাড়া সবকিছুতে অতৃপ্তি, ‘আমার কিছু নাই’, ‘আমার কিছু হবে না’—এমন ভাবনা আমাদের মনে হতাশা তৈরি করে।

৪. ক্ষতিকর আসক্তি তৈরি করবেন না। নিজের কাজে দেয় না এমন কোনো অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়লে আমাদের মন বিগড়ে যায়। মন থেকে তখন মস্তিষ্কে বার্তা পাঠানো হয়, ‘আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।’

৫. রেগে গেলে হারিয়ে যাবেন! রাগলে হেরে যায় মানুষ, এমনটা সব সময় শুনি আমরা। কিন্তু রাগলে আসলে আমরাই হারিয়ে যাই। যারা অল্পতেই রেগে যায় তাদের সঙ্গে কেউ আড্ডা দেয় না, গল্প করে না—তারা আসলে এভাবেই অন্যদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।

৬. পরশ্রীকাতরতা এড়িয়ে চলুন। অন্যকে হিংসা করলে আপনি সুখী হতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, অন্যকে হিংসা করলে আপনি নিজেকে নিচু ভাবা শুরু করবেন। অন্যের সাফল্যকে হিংসা করলে নিজেকেই ছোট করা হয়।

৭. অহেতুক ভয় পাবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা অনেক কিছুর ভয় কল্পনা করি। একটা কাগজে ভয় আর ঝুঁকিগুলো লিখে ফেলুন, তারপর দেখুন কোনটি বাস্তবায়ন করলে ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।

৮. লজ্জার ভয় করবেন না। নতুন কোনো কাজ করার সময় অন্যরা কী বলবে, সেই লজ্জায় আমরা অনেক কিছু করতে চাই না। বিব্রত হওয়ার ভয়ে আসলে নিজের লক্ষ্যকে ছোঁয়া যায় না। যারা আপনাকে লজ্জা দেয়, তাদের সঙ্গ পরিহার করুন।

A.S. Rafi:
nicely said

Anuz:
Nice Tips............ :)

Arfuna Khatun:
 :) :) :)

Nargis Akter:
wow

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version