সুখ উপলব্ধি
শরিয়তপুর জেলার কাদের, নদীতে মাছ ধরে যার জীবিকা চলে। একদিন মাছধরা শেষে নদীর ধারে একটা গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে, আর নিজেই নিজের সাথে বলছে "আজ বেদম রোইদ পরতাছে গাছটা না থাকলে চেগাইয়া যাইতাম রোইদে"। বলতে বলতেই খোদার রহমতের মৃদু হিমেল বাতাস আসতে শুরু হলো।
কাদেরের প্রানটা জুড়িয়েগেলো সে বাতাসে, কাদের দুচোখ বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাষ নিয়ে প্রকৃতির পরম সুখ উপভোগ করছে, এ যেনো স্বর্গ সুখ মোহিত সময়। মনের সুখে দুচোখবুজে গুন গুন করছিলো।
এমন সময় পাশ দিয়ে এক সনামধন্য ব্যাবসায়ী যাচ্ছিলো নাম তার কালু বেপারী। গায়ের রং কালো থাকায় ছোট বেলা থেকে সবাই কালু কালু ডাকতো, সে থেকে নাম পড়লো কালু। আর এখন সে চাদপুরের একজন বড় আড়দ্দার, একটা মাছের আড়দ আছে তার।
কালু বেপারী: কি কাদিরা ঘুমাও কেন? এই হইলো তোগো সমস্যা কেবল আরাম করছ।
কাদের: ও কালু ভাই! আইজকার লাইগা মোটামোটি ভালো মাছ ধরছি আর লাগবোনা।
কালু বেপারী: কেন আরোকয়ডা মাছ ধরলে হইতোনা?
কাদের: কি হইতো?
কালু বেপারী: বেশি মাছ বিক্রি কইরা বেশি টাকা পাইতি।
কাদের: এর পর কি করতাম?
কালু বেপারী: একটা নৌকা কিনে মাঝ নদীতে আরো বেশি মাছ ধইরা আরো বেশি টাকা পাইতি।
কাদের: তারপর কি করতাম?
কালু বেপারী: আরো নৌকা কিনে তোর নিজের আওতায় কতোলোক করাতে পারতি। একদিন বড় ব্যবসায়ী হয়ে অনেক টাকার মালিক হইতি।
কাদের: তারপর কি করতাম?
কালু বেপারী: তারপর সুখ উপভোগ করতি।
কাদের: তোহ আপনে আহনের আগেতো আমি তাই করতাছিলাম। ফারাক হইলো আপনে এই সুখ বানানের লাইগা বহুত কিছু করছেন, আর আমি আল্লার দনে খুশি।
কালু বেপারী চুপ করে কিছুক্ষন ভাবলেন তারপর কিছু না বলে চলেগেলো।