যানজটের শহর ঢাকা। কেন্দ্রমুখী প্রবণতা ঢাকা শহরকে দিন দিন অসহনীয় করে তুলছে। নানামুখী সমস্যার মাঝে প্রতি সপ্তাহে বাড়তি চাপ আসে নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্রিক।
নিয়োগ পরীক্ষার চাপ যেমন শহরকে ভোগ করতে হয়, তেমনি ভোগ করতে হয় পরীক্ষার্থীদের। একজন পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসেন। নিয়োগ পেয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার বদলে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে দিতে সর্বস্বান্ত হয়ে ক্ষান্ত দিতে হয়।
পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কেউ কেউ চাকরি করেন, টিউশনি করেন বা কোচিংয়ে ক্লাস নেন। পাশাপাশি ভালো চাকরির আশায় পরীক্ষা দিতে থাকেন।
কিন্তু বারবার ঢাকায় পরীক্ষার জন্য আসা-যাওয়া করতে করতে অনেকেই টিউশন বা খণ্ডকালীন চাকরি হারান। আর এর ওপর যাতায়াতের ঝক্কি-ঝামেলা।
এ ছাড়া সম্প্রতি একটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার আসনবিন্যাসে দেখা যায়, কারও পরীক্ষা সকালে, কারও পরীক্ষা বিকেলে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াই লাখ। একই নিয়োগ পরীক্ষায় দুটি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত, তা আমাদের বোধগম্য নয়। লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে এক জায়গায় একত্র না করে আটটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়া কি শ্রেয় নয়?
বিসিএস ও এনএসআইয়ের মতো পরীক্ষা যদি আটটি বিভাগীয় শহরে হতে পারে, তাহলে অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা কেন নেয়? দয়া করে বেকারদের একটু রেহাই দিন।