বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে তৈরি হচ্ছে নতুন নীতিমালা। নীতিমালা প্রণয়ন হলে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে। চলতি এপ্রিলে এটি বাস্তবায়ন হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, খসড়া নীতিমালা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরবর্তনের ক্ষেত্রে ২০ লাখ, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ২৫ লাখ, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (কলেজ-মাদরাসা) ক্ষেত্রে ৩০ লাখ এবং ডিগ্রি পর্যায়ের ক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে হবে। তবে আগে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরবর্তনের জন্য ছয় লাখ, মাধ্যমিকের জন্য ১০ লাখ এবং উচ্চ মাধ্যমিক ক্ষেত্রে ১৫ লাখ এবং ডিগ্রি পর্যায়ের ক্ষেত্রে ২০ টাকা জমা দিতে হতো।
নতুন নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে গভার্নিং বডির অনুমোদন এবং দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এছাড়া নাম পরিবর্তনে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য (স্কুল কলেজ ও ডিগ্রি ক্ষেত্রে) জেলা প্রশাসককে (ডিসি) আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। মাদরাসার ক্ষেত্রে মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে আহ্বায়ক করে পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে উচ্চ কমিটির কাছে সুপারিশ করবে।
অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (স্থায়ী কিমিটি) বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শাখার অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের জন্য অসংখ্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই। তবে নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি প্রদানপূর্বক নামকরণের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন রয়েছে। এ কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ/পরিবর্তন নীতিমালা প্রণয়ন করতে গত ২০ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহবার হোসেনের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া জমা দিয়েছে। নীতিমালা যাচাই-বাছাই শেষে এপ্রিল থেকেই তা বাস্তায়নের কথা রয়েছে। তবে নাম পরিবর্তনে নিরুৎসাহিত করতে নীতিমালায় কঠোরতা আরোপ করা হচ্ছে।