ডিম কিনতে যাচ্ছেন? ডিম সম্পর্কে সবকিছু জানা আছে তো? অনেকে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ ডিম সম্পর্কে ভালো জানেন, আবার অনেকের তেমন ধারণা নেই। ডিম সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন।
প্রতিদিনের নাশতায় ডিম অনেকই ডিম পোচ বা সেদ্ধ রাখেন। কেউবা দুপুরে খান ডিমের ঝোল, ওমলেট বা ভাজি। তরকারির বিকল্প হিসেবে ভর্তা করেও অনেককে খেতে হয়। অনেকের ডিম অত্যন্ত প্রিয়। অতি পরিচিত এই ডিম সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো।
১. ডিম ঘুরিয়ে দেখুন: ডিম কাঁচা নাকি সেদ্ধ—কীভাবে বুঝবেন? ডিমটি একটু ঘুরান। যদি সহজে ঘোরে, তবে তা ভালোমতো সেদ্ধ। আর যদি তা না হয়, তবে তা কাঁচা।
২. প্রোটিনের শক্তি: মানুষের টিস্যু তৈরিতে যে পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার পড়ে, এর সঠিক মিশ্রণ আছে ডিমের প্রোটিনে। মানুষের পুষ্টির জন্য মায়ের দুধের পরপরই ডিমকে রাখা হয়।
৩. ভালো করে ধুতে হবে: ফ্রিজে ডিম রাখার আগে অবশ্যই তা ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে। ডিমের খোসার বাইরের দিকে প্রচুর ময়লা, ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৪. ডিমের রঙের পার্থক্য: ডিমের কুসুমের রং নির্ভর করে মুরগির খাবারের ওপর। যদি কুসুমের রং গাঢ় হলুদ হয়, তবে মুরগি যথেষ্ট সবুজ শাক-সবজি ও খাবার খেয়েছ। হালকা হলুদ হলে মুরগি শস্য খেয়েছে বেশি।
৫. ফ্রিজে রাখা ভালো: ফ্রিজে ডিম রাখা হলে খোসায় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করে না। এতে দীর্ঘদিন ডিম ভালো থাকে।
৬. কম ক্যালরি: একটি ডিমে ৭০ ক্যালরি ও ৫ গ্রাম চর্বি থাকে। তাই কোনো সমস্যা না থাকলে ডিম খাওয়া যায়।
৭. ভিটামিন ডি: ডিমের প্রোটিন ও কুসুমের ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফোলেট ও ভিটামিন ডি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।
ডিমডিম
৮. রঙ গুরুত্বপূর্ণ নয়: ডিমের রং সাদা না বাদামি, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। কারণ পুষ্টিগুণ দুয়েরই সমান। তবে দেশি মুরগির ডিমের স্বাদ বেশি, উপকারিতাও হয়তো বেশি, কারণ এদের খাবারে হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিকের রেশ থাকার আশঙ্কা নেই।
৯. ডিমের সাদা অংশ: ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকু খাওয়া চলে। এটা ভালো প্রোটিন।
১০. কোলস্টেরল কম: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।