কোলাহল থেমে গেছে। দারুণ তৃপ্তির এক জয়ের সাক্ষী হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন শ্রীলঙ্কান সমর্থকেরা। কাল গভীর রাতে সাংবাদিকদের কাছে এসে ম্যাচের সেরা কুশল পেরেরা এসে জানিয়ে গেলেন, ম্যাচটি তিনি শেষ করেই আসতে চেয়েছিলেন। অল্পের জন্য পারেননি। তবে দুটি চোট থেকে ফিরে এসে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তিনি খুশি। পেরেরা যা-ই বলুন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সেদিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল না। সবার কৌতূহল ছিল কখন আসবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফি এলেন। আর কোথায় ম্যাচ? সব ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠল একেবারেই আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে মাশরাফির বিদায় বলে দেওয়া।
মাশরাফির দাবি, খুব বড় কিছু ভেবেচিন্তে অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। তাঁর হুট করেই মনে হলো, অবসর নেব। ব্যস, টস হওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন, এটাই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
প্রথমে জানিয়েছেন মাকে। তারপর বাবাকে। অবসরের সিদ্ধান্ত জানা তৃতীয়জন হলেন তাঁর স্ত্রী। আর এরপর জেনেছেন তাঁর বন্ধুরা, যে বন্ধুদের দলে তাঁর ছোট ভাইও আছেন! মাঠে আসার আগে হোটেল থেকে জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে। তাঁকে একটু আগেই জানিয়েছেন; কেননা, বোর্ড তাঁকে এই সংস্করণের ক্রিকেটেরও অধিনায়ক করে দেখিয়েছে সম্মান।
অবসরের পেছনে মাশরাফির ক্রিকেটীয় কারণ, ‘তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া। এই যে দেখেন আজ সাইফের অভিষেক হলো। সে ভালো বোলার। আমি না থাকলে সে অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে।’ তবে অন্যদের সুযোগ করে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথমেই তাঁর দুঃখ ঝরেছে রুবেল হোসেনের জন্য, ‘দেখুন, শেষ দুটি (আসলে তিনটি) টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রুবেল ৭ উইকেট নিয়েছে। অথচ তার জায়গা হলো না একাদশে। তাকে ফিরে যেতে হলো দেশে। এটা আমাকে একটু আহত করেছে। আমার জন্যই তার জায়গা হলো না।’