ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়াদিল্লিতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। রোববার সন্ধ্যার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সোনিয়া।
এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ও তার ছেলে রাহুল গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ অন্য সফরসঙ্গীরা।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী রাইসিনা হিলে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির দেয়া এক নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
আধা ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সেখানকার আলোচনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
ইহসানুল করিম জানান, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। শক্ত হাতেই সন্ত্রাস দমন করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা একমত বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন সোনিয়া গান্ধী।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কংগ্রেস সরকারের সময়েই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন কংগ্রেস নেত্রী। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও এসময় আলোচনা হয়।
এর আগে সকালের দিকে আজমিরে খাজা মইনুদ্দিন হাসান চিশতির মাজার জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা। সফরসঙ্গীদের নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে আজমির শরিফে পৌঁছান।
সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়। মাজারে চাদর প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খাদেম আলিমুদ্দীন।