কিভাবে রক্তে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারেন?

Author Topic: কিভাবে রক্তে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারেন?  (Read 883 times)

Offline protima.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 429
  • Test
    • View Profile
কিভাবে রক্তে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারেন?

প্রতিটি মানুষের রক্তে নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকে। কিন্তু এই চর্বির পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন বেড়ে যায় অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি। রক্তে অতিমাত্রার চর্বি করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হূদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আসুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক রক্তের চর্বির স্বাভাবিক মাত্রা কত। এটা আমরা লিপিড প্রফাইলের মাধ্যমে জানতে পারি। টোটাল কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয় ২২০ মি.গ্রাম/ডিএল পর্যন্ত বা 5.2 mmol/L আর ট্রাইগ্লিসারাইড 50-150 mg /dl পর্যন্ত স্বাভাবিক বা 2.3 mmol/HDL বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল, এটা বেশি থাকাই কাম্য। HDL 35mg /dl বা 0.9 mmol/L এর কম হলে সেটা ভালো নয়।

এবারে আমরা জেনে নেবো কিভাবে আমরা রক্তে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারি বা কম রাখতে পারি। প্রথমেই বলা যাক খাদ্যতালিকায় কী কী সংযোজন বা পরিহার করতে হবে।

গরু ও খাসির গোশত খাওয়া কমিয়ে দিন। আর, হ্যাঁ, সেই সাথে অবশ্যই কলিজা জাতীয় খাবারও আপনাকে কম খেতে বা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রচুর মপরিমাণে মাছ খান। শাকসবজি ও ফল খান। দুধ বা দুধ থেকে উত্পন্ন খাদ্য যেন- ঘি, পনির, মাখন, আইসক্রিম খাবেন না। ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন, তার মানে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। নারকেল বা নারকেল দেয়া খাবার পরিত্যাগ করুন।

খাবার তালিকা সংশোধনের সাথে সাথে হূদরোগ-এর ঝুঁকি বাড়ায় এমন কোনো অভ্যাস যেমন ধূমপান পরিহার করতে হবে। তাছাড়া উচ্চরক্তচাপ থাকলে তার জন্য সঠিক চিকিত্সা নেয়া জরুরি।

এরপর আসা যাক অ্যারোবিক এক্সারসাইজের কথায়। ব্যায়াম করার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যায়াম করা স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন।

এবার আসা যাক অ্যান্টি আক্সিডেন্ট ভিটামিনের কথায়। ভিটামিন এ, ই ও সি হচ্ছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন। নানাভাবে এরা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় ও হূদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ভিটামিন এ রয়েছে রঙিন শাক সবজিতে। আর প্রতিদিন অন্তত ১৫ গ্রাম ভিটামিন এ আমাদের জন্য প্রয়োজন। তাই ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রচুর পরিমাণ কাঁচা ও রান্নাকরা শাকসবজি, ফল গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, তারপরও রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির পরিমাণ বেশি এ রকম অনেকেই আমাদের কারো না কারো পরিবারে আছেন। আর তাদেরকে তখন নানারকম ওষুধের মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

৫০ বছর এর অধিক বয়সী অনেক মহিলার সার্জারি করে জরায়ু ফেলে দেয়া হয়। আবার সে সময় তারা এমনিতেই মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি কালে চলে যান। এই সময় তারা যদি ইস্ট্রোজেন নেন তাহলে তারা হূদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

কারণ ইস্ট্রোজেন বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেয়া হলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যেসব ওষুধ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় তা চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাইল এসিড রেজিন, নায়াসিন, স্ট্যাটিন এবং ফিব্রিক এসিড থেকে প্রাপ্ত ওষুধ।

Offline SabrinaRahman

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 333
  • Never give up because great things take time
    • View Profile
Helpful post. Thanks for sharing.
Sabrina Rahman
Lecturer
Department of Architecture, DIU