স্ট্রোক প্রতিরোধের ছয় উপায়

Author Topic: স্ট্রোক প্রতিরোধের ছয় উপায়  (Read 1761 times)

Offline Sahadat Hossain

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 368
  • Test
    • View Profile
স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এটি মস্তিষ্কের কঠিন রোগ। মস্তিষ্কের কোষগুলো একবার নষ্ট হলে পুনরায় পুরোপুরিভাবে কার্যকর হয় না অথবা জন্মায় না। চিকিৎসার চেয়ে এই রোগ প্রতিরোধই উত্তম। এই রোগ মস্তিষ্কের রক্তনালি থেকে উদ্ভূত হয়। স্ট্রোক হলে অনেক সময় রোগী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট ও জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। গ্রামাঞ্চলে কিংবা শহরে যেকোনো হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব।

–  নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
–  ধূমপান, মদ্যপান, মাদকদ্রব্য, তামাক পাতা ও জর্দা খাওয়া, গুল লাগানো ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
–  হৃৎপিণ্ডের রোগের চিকিৎসা, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
–  চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফাস্টফুড, বাদাম, সন্দেশ, রসগোল্লা, দুধ, ঘি, পোলাও, বিরিয়ানি, পাঙ্গাশ, চিংড়ি, কাঁকড়া, গরু বা খাসির মাংস, নারকেল বা নারকেলযুক্ত খাবার ডিমের কুসুম ইত্যাদি খাওয়া ঠিক নয়।
–  শাকসবজি, অল্প ভাত, পাঙ্গাশ-চিংড়ি-কাঁকড়া বাদে যেকোনো মাছ, বাচ্চা মুরগি ও ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো ক্ষতি হয় না।
–  নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বাড়তি ওজন কমাতে হবে।

স্ট্রোক অবশ্যই একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। আক্রান্ত রোগী নিজে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের জন্য অনেক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিরোধ করাই উত্তম।

লিখেছেনঃ ডা. ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, ডিন, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সুত্রঃ এনটিভি অনলাইন  (দেশজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে এনটিভি ও ডক্টরোলা একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।)
Md.Sahadat Hossain
Administrative Officer
Office of the Director of Administration
Daffodil Tower(DT)- 4
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi.
Email: da-office@daffodilvarsity.edu.bd
Cell & WhatsApp: 01847027549 IP: 65379